fbpx

রবিন ওলসেনে আটকে গেলো স্পেন!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গোলশূণ্য ড্র’তে ইউরো আসর শুরু করলো ২০০৮ ও ২০১২ এর ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন। নিজেদের ঘর সেভিয়ার স্তাদিও অলিম্পিকো স্টেডিয়ামে স্পেনকে একাই জয় বঞ্চিত করেছেন সুইডিশ গোলকিপার রবিন ওলসেন। একতরফা প্রভাব বিস্তার করে খেললেও গোলের খেলা ফুটবলে ওলসেনের কারণে গোলটাই পায়নি স্প্যানিশরা।

নিজেদের পরিচিত খেলার ধরণেই শুরু থেকে সুইডেনের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে স্পেন। ১৬ মিনিটে কোকের ক্রস থেকে লাইপজিগের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার দানি কারভাহালের হেড দারুন দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন সুইডেন কিপার রবিন ওলসেন। এরপর কোকেই নিজেই অন্তত আরো দু’টি সুযোগ নষ্ট করেছেন, দু’বারই বল মেরেছেন গোল পোস্টের বাইরে। তবে প্রথম ৪৫ মিনিটের সবচেয়ে বড় সুযোগটা নষ্ট করেছেন আলভারো মোরাতা, তিনিও কোকের মতোই ‘টার্গেটে’ বল রাখতে পারেননি।

বিরতি থেকে ফিরেও খেলার ধরণ বদলায়নি স্পেন। যদিও একঘণ্টা পার হতেই স্রোতের বিপরীতে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোলের সুযোগ পায় সুইডেন। ফরোয়ার্ড আলেক্সান্ডার আইসাকের বাড়ানো বল আরেক স্ট্রাইকার মারকাস বার্গ জালে জড়াতে ব্যর্থ হন। খেলার বাকি সময় স্প্যানিশদের আক্রমণে দিশেহারা ছিলো সুইডেন, কিন্তু দারুণ ডিফেন্সিভ ইউনিট হয়ে খেলে এবং গোলকিপারের দক্ষতায় লা রোহাদের গোল পেতে দেয়নি। ৮৫ ভাগ বলের দখল রাখা স্পেন ৯১৭টি পাস দিয়েছে যার নব্বইভাগই সঠিক, যেখানে পুরো খেলায় সুইডেনের পাসের সংখ্যাই ছিলো ১৬২, যার অর্ধেক আবার ভুল পাস। এমন দাপট দেখিয়ে যথেষ্ট সুযোগ তৈরী করাই স্বাভাবিক, স্প্যানিশরাও করেছে যার সবশেষটা ঠিক ৯০ মিনিটে। বদলি খেলোয়াড় জেরার্ড মরেনোর হেড ফিরিয়ে দেন সুইডেনের গোল স্টপার রবিন ওলসেন, ওটাই ছিলো স্পেনের গোল করার শেষ সুযোগ। খেলার ধরণ আর পরিকল্পনা দেখে নিশ্চিত করেই বলা যায়, এক পয়েন্ট পেয়ে যতোটা হতাশ স্পেন; হয়তো ততোটাই খুশি সুইডেন।

রবিন ওলসেনে আটকে গেলো স্পেন!

ছবি: টুইটার

সুইডেনের সাথেই নতুন এত রেকর্ড গড়েছেন বার্সার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার পেদ্রি, তিনি এখন স্পেন জার্সিতে ইউরো খেলা সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার। এই রেকর্ডের সাথে আরেকটা রেকর্ড খুঁজে দেখা যেতে পারে, শেষ কবে ইউরোতে কোন দল ৯১৭টা পাস দিয়েছে!! তথ্যের হিসেব দারুণ লাগলেও গোলের হিসেবে শূন্যই পেয়েছে স্পেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply