আগামী ৫ আগস্টের আগে তৈরি পোশাক কারখানা খুলছে না বলে নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। পাশাপাশি বিধিনিষেধ কার্যকরে সবার সহযোগিতাও চান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এবার বিধিনিষেধ গতবারের চেয়েও কঠোর হবে। বিধিনিষেধ কার্যকর করতে পুলিশের পাশাপাশি, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবে।’
অফিস, আদালত, গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিসহ সব কিছু বন্ধ থাকবে। এ পর্যন্ত যত সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে সেভাবেই চলবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু অফিস বা কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকবে, যেহেতু যারা বাড়িতে গেছেন তারা সময় নিয়ে গেছেন, ৫ তারিখের পরেই যেনো তারা আসেন।’
করোনার সংক্রমণ কমানোর জন্য অবশ্যই বিধিনিষেধ মানতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাইকে ঘরে থাকতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হবেন না।
এইটা যদি ১৪ দিনের জন্য করতে পারি তাহলে সংক্রমণ কমবে, না হলে বাড়তে থাকবে। তা না হলে হাসপাতালে রোগীর যে চাপ সেই চাপ বাসা-বাড়িতে আসবে। অতএব সকলকে সহযোগিতা করতে হবে বলেও সাংবাদিকদের জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
উল্লেখ্য, আগামীকাল শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধে যাচ্ছে সারাদেশ। তবে এ বিধিনিষেধ চলাকালে খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা খোলা থাকবে। এছাড়া কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপদনকারী শিল্পকারখানা খোলা থাকবে।
কঠোর বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে যেসব খাত:
১) খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পকারখানা খোলা থাকবে।
২) কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প কারখানা খোলা থাকবে।
৩) ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প কারখানা খোলা থাকবে।