৫৭ বছর পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুঁড়ি স্টেশন থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলো ‘মিতালী এক্সপ্রেস’।
বুধবার (১ জুন) দিল্লিতে ভারতের রেলওয়ে বোর্ডের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মিতালী এক্সপ্রেসের প্রথম যাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
দুই মন্ত্রী ভার্চুয়াল ফ্ল্যাগ উড়িয়ে হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন যাত্রার শুভ সূচনা করেন। প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে চালু হওয়া তৃতীয় যাত্রীবাহী ট্রেন এটি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে এটি ঢাকা ছেড়ে ফের নিউ জলপাইগুঁড়ির উদ্দেশে যাত্রা করবে।
🇮🇳 & 🇧🇩 Towards shared heritage, shared present and shared future!
Flagged off "Mitali Express" between New Jalpaiguri (India) and Dhaka (Bangladesh) with His Excellency Md Nurul Islam Sujan. pic.twitter.com/CYlVK0Jzva
— Ashwini Vaishnaw (@AshwiniVaishnaw) June 1, 2022
৫৭ বছর পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুঁড়ি স্টেশন থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলো ‘মিতালী এক্সপ্রেস’।
বুধবার (১ জুন) দিল্লিতে ভারতের রেলওয়ে বোর্ডের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মিতালী এক্সপ্রেসের প্রথম যাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ভারতীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
দুই মন্ত্রী ভার্চুয়াল ফ্ল্যাগ উড়িয়ে হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন যাত্রার শুভ সূচনা করেন। প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে চালু হওয়া তৃতীয় যাত্রীবাহী ট্রেন এটি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে এটি ঢাকা ছেড়ে ফের নিউ জলপাইগুঁড়ির উদ্দেশে যাত্রা করবে।
ট্রেন ছাড়ার এই মুহূর্তকে দুই দেশের রেল সহযোগিতার ইতিহাসে একটি ‘মাইলফলক’ হিসাবে বর্ণনা করেন ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
সেই ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দার্জিলিং থেকে খুলনা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত এ রেলপথে নিয়মিত চলাচল করত একাধিক যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন। ১৯৬৫ সালে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধের পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর নানা কারণে এই রুটে আর ট্রেন চালু করা সম্ভব হয়নি। এরপর ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে এই রেলপথ উদ্বোধন করেছিলেন। এর সাড়ে সাত মাস পর গত বছরের ১ আগস্ট এই রুটে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
মিতালী এক্সপ্রেসের পতাকা ওড়ানোর অনুষ্ঠানে ভারতের রেলমন্ত্রী বলেন, ‘একীভূত ঐতিহ্য, একীভূত বর্তমান ও একীভূত ভবিষ্যতের উপর গড়ে উঠেছে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক। সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন- সব পর্যায়ে দু’দেশের সম্পর্ক বর্তমানে বেশ বেগবান। এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে এবং এই বন্ধনকে আরও জোরালো করার ক্ষেত্রে মিতালী এক্সপ্রেস গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকের ভূমিকা রাখবে।‘
ভারতীয় রেলমন্ত্রী বলেন, ‘দুদেশের রেলওয়ের মধ্যে বহু প্রকল্প চলমান আছে। আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ের অভিজ্ঞতা থেকেও শিখছি এবং আমাদের ক্ষুদ্র পর্যায় থেকে যথাসম্ভব সহযোগিতা করছি।‘
অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও মাত্র ৭০০ মালবাহী ট্রেন চলত। এই সংখ্যা এখন ১ হাজার ৬০০টির মত।‘
পুরো রেলপথ ব্রডগেজ করা, রেলের বিদ্যুতায়নসহ বাংলাদেশের রেলকেন্দ্রিক বিভিন্ন পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে ভারতীয় মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রেলওয়ের মধ্যে সম্পর্ক ভবিষ্যতে তাৎপর্যপূর্ণ ফলাফল বয়ে আনবে বলে আশা রাখছি।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে লেখা। বর্তমানে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক বেশি গভীর হয়েছে।
মিতালী এক্সপ্রেস সপ্তাহে দুদিনের পরিবর্তে তিন দিন করা যায় কি-না, সেটি ভেবে দেখার পরামর্শ দেন সুজন।
বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ভারত তার রেলব্যবস্থাকে যেভাবে গড়ে তুলেছে, আমি বিভিন্ন জায়গা ঘুরেছি, তাদের নিজেদের সামর্থ্য, প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেভাবে গড়ে তুলেছে, তাতে আমি অভিভূত। ভারতের রেলব্যবস্থা তাদের যে অভিজ্ঞতা, তা যদি বাংলাদেশের রেলওয়ের জন্য কাজে লাগাতে পারি, আমরা উভয়ে উপকৃত হতে পারব।’
ভারতের পাশাপাশি প্রতিবেশী অন্যান্য দেশের সাথেও রেল যোগাযোগ তৈরিতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মিতালী এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান উপস্থিত ছিলেন।