fbpx

ক্লাবহাউজ অ্যাপ ব্যবহার করে হ্যাকারদের ফাঁদে পা দিচ্ছেন না তো?

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সম্প্রতি তরুণদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ‘ক্লাবহাউজ’ নামের একটি অডিও অ্যাপ। এরই মাঝে ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি গ্রাহক অ্যাপটি ডাউনলোডও করেছে। তাই এই সুযোগ নিয়ে হ্যাকাররা একই নামের আরেকটি নকল অ্যাপ তৈরি করেছে।

আর গ্রাহকরা না বুঝেই সেই ভুয়া অ্যাপটি ডাউনলোড করে ঝুঁকিতে পড়ছে। অনেকেরই আবার ফেসবুক আইডি হ্যাকের ঘটনাও ঘটেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদন এমন ভয়ংকর তথ্য জানিয়েছে।

সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি নকল এক ক্লাবহাউজ অ্যাপ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। যার সাথে সত্যিকার ক্লাবহাউজ অ্যাপের অনেক মিল আছে। এর সব ফিচারও ওই অ্যাপের মতো। তবে ভুয়া এই অ্যাপে ক্ষতিকর এক ম্যালওয়ার আছে। যার ফলে গ্রাহকদের তথ্য চুরি হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে অ্যান্ড্রয়েড গ্রাহকরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।

জানা গেছে, ভুয়া এই অ্যাপে যে ম্যালওয়ার ব্যবহার করা হয়েছে তার নাম ‘ব্ল্যাকরক’। এটি ব্যবহারকারীদের ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে অবৈধভাবে প্রবেশ করতে পারে। ফলে গ্রাহকদের অনেক ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ম্যালওয়ারটি ডিভাইসে থাকা অন্যান্য অ্যাপে ঢুকেও তথ্য চুরি করতে পারে। তাই এ বিষয়ে ব্যবহারকারীদের সতর্ক হতে বলেছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সাইবার অপরাধীরা ব্যবহারকারীদের নকল ক্লাবহাউজ অ্যাপের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে। আর যারা এই ফাঁদে পা দেবেন, তারা নিজেদের সব তথ্য তুলে দেবেন হ্যাকারদের হাতে। আর সেখান থেকে হ্যাকাররা আপনাকে ব্ল্যাকমেইলও করতে পারেন।

স্লোভেনিয়ার ইন্টারনেট সিকিউরিটি কোম্পানি ইএসইটি’র গবেষক লোকাস স্টেফানকো এ প্রসঙ্গে জানান, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভুয়া ক্লাবহাউজ নামের ম্যালওয়ারটি ব্যবহারকারীদের মোবাইল ফোনে পাঠানো হয়। এখানে গুগল প্লে-স্টোরের কোনো সহায়তা পাওয়া যায় না। কেননা ক্লাবহাউজ অ্যাপটি শুধু আইফোন গ্রাহকদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর অনেকে তাই লোভ সামলাতে না পেরে ওই ওয়েবসাইটে ঢুকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ফেলে এবং হ্যাকারের কবলে পড়ে।

ক্লাবহাউজ অ্যাপ কী?

এটি একটি অডিওভিত্তিক চ্যাটরুম অ্যাপ। অ্যাপলের আইওএস ব্যবহারকারীরা অ্যাপটি শুধু ইনভাইটেশনের ভিত্তিতে ফ্রি চালাতে পারেন। এই অ্যাপে পাবলিক ও প্রাইভেট অডিও চ্যাট রুম আছে। এতে কথোপকথন রেকর্ড করা হয় না।

তবে বেশ কিছু তারকার কথাবার্তা ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে। অ্যাপটিতে লাইভ ডিজে পার্টি, সেলিব্রিটি টক শো ও স্পিড ডেটিংয়ের মতো অডিওভিত্তিক কার্যক্রম চালানোর সুযোগ রয়েছে।  ফেসবুক প্রধান মার্ক জুকারবার্গ ও টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক টক-শোতে অংশ নেওয়ার পরই অ্যাপটির জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে যায় বহুগুণে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply