fbpx

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে না ১৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিচ্ছু প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্বান্ত নিয়েছে সরকার।দেশের ৪৬ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে সম্মত হয়েছে। এই তালিকার মধ্যে সাধারণ ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ধারার ২০টি, ছয়টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং তিনটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তিন গুচ্ছে আলাদাভাবে পরীক্ষার আয়োজন করবে।

তবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাচ্ছে না বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) ডিপ্লোমা কোর্স থাকায় তারা গুচ্ছ পদ্ধতিতে যেতে পারছে না। এছাড়া বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি বুয়েটের সঙ্গে গুচ্ছ পদ্ধতিতে যেতে চাইলেও বুয়েট রাজি হয়নি। তাই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এরা ভর্তি পরীক্ষা নেবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৫০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘এবার গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি, সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ধারার ২০টি এবং কৃষিসহ মোট ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নিচ্ছে। আর বাকিগুলো নিজ নিজ প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করবে। ’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গেল বৃহস্পতিবার সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সমন্বয়ে গঠিত কোর কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। যারা এই গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে, সেখানে প্রাথমিক আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীদের কোনো ফি দিতে হবে না। যাদের শিক্ষার্থীর ন্যূনতম যোগ্যতা থাকবে, তারা সবাই প্রাথমিকভাবে আবেদন করতে পারবেন।

যারা ভর্তি পরীক্ষা দেবে, সভায় তাদের প্রাথমিক যোগ্যতাও নির্ধারণ করা হয়। বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭, বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৬ দশমিক ৫ এবং মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৬ থাকতে হবে।

তবে প্রতি শাখায় (বিজ্ঞান/বাণিজ্য/মানবিক) এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩ থাকতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। তবে শুধু এ বছরের জন্যই গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ ও ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

আর প্রাথমিকভাবে বাছাই করা শিক্ষার্থীরা ৫০০ টাকা ফি জমা দিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করবেন।

এদিকে মঞ্জুরী কমিশন সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষায় অংশ নেবে।

আর ছয়টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হলো— বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

আর সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।

এবং বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ধারার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়,  বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply