সুস্থভাবে বাঁচার জন্য হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। এমনটাই বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ হৃদরোগ। জীবনযাত্রা সম্পর্কে সচেতন না হলে একটা বয়স পর হতে পারে হৃদরোগ। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস থাকলে এই বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া জরুরি। খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করেও হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করা যায়।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, মাত্র কয়েক মিনিট হাঁটলেই হৃদরোগের ঝুঁকি কমতে পারে অনেকাংশে। দিনে মাত্র ২১ মিনিট হাঁটার অভ্যাস হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমায় প্রায় ৩০ শতাংশ। প্রতি দিন ২১ মিনিট করে হাঁটার অর্থ সপ্তাহে প্রায় আড়াই ঘণ্টা হাঁটা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই ২১ মিনিট অন্য কোনো দিকে মন দিলে চলবে না। হাঁটার সময় অনেকেই মোবাইল ব্যবহার করেন। কেউ কেউ ব্লু-টুথ হেডফোনে গানও শুনে থাকেন। গান শুনলেও হাঁটার সময় ফোন ঘাঁটতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। নিয়মিত হাঁটলে রক্তচাপের পাশাপাশি কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলা, ক্যানসার প্রতিরোধ এবং আরও অনেক রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে নিয়ম করে হাঁটার অভ্যাস।
আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ বলছে, হাঁটা ছাড়াও হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে প্রচুর তাজা ফল, শাকসবজি, কম প্রক্রিয়াজাত খাবার না খাওয়া জরুরি। ‘ডব্লিউএইচও’-এর মতে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্রান্স ফ্যাট আছে এমন খাবার হৃদরোগ থাকলে এড়িয়ে চলাই ভালো। হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ানোর পাশাপাশি ওজনও বাড়ায় এই ধরনের খাদ্যাভ্যাস। সেই সঙ্গে অ্যালকোহল সেবন ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করাও হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।