শুধু নিম্নবিত্ত নয়, এখন থেকে মধ্যবিত্তরাও টিসিবির পণ্য কিনতে পারবেন। অনলাইনে মধ্যবিত্তদের দোরগোঁড়ায় টিসিবির পণ্য পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সোমবার টিসিবি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে ‘মাহে রমজানে ঘরে বসে স্বস্তির বাজার’ শীর্ষক কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ কার্যক্রমের আয়োজন করে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।যেখানে তাদের সহায়তা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ- (টিসিবি)।
তিনি বলেন, ‘টিসিবি ট্রাক সেলের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ন্যায্যমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ যাতে এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য সরকার ই-কমার্সের সহযোগিতায় ভোজ্য তেল, ছোলা, চিনি এবং ডাল এ চারটি পণ্য বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ই- কমার্সের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। তাই মানুষ যাতে পণ্য ক্রয়ে প্রতারিত না হয় এবং ঘরে বসেই যাতে ই-কমার্সের সুবিধা ভোগ করতে পারে এজন্য সরকার সর্বোচ্চ সতর্ক বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ই-কমার্সে নিয়োজিত জনবলকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। চলমান ই-বাণিজ্যে যেসব ভুলত্রুটি ধরা পড়ছে, সেগুলো যাতে আবার না ঘটে, সরকার সে বিষয়ে পদক্ষেপও নিয়েছে।
গত বছর অনলাইনে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত (ই-ক্যাব) ডিজিটাল হাট ডট নেটের ৮টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনলাইনে টিসিবির পণ্য বিক্রয় করছে। আগামী ৬ মে পর্যন্ত ভোজ্য তেল, ছোলা, চিনি এবং ডাল এ চারটি পণ্য বিক্রয় হবে।
ভোজ্য তেল প্রতি লিটার ১০৮ টাকা এবং চিনি, ছোলা ও ডাল ৫৮ টাকা দরে বিক্রয় করছে। একজন ক্রেতা সপ্তাহে ৫ লিটার তেল এবং ৩ কেজি করে চিনি, ছোলা, ডাল কেনার সুযোগ পাবেন।
ডেলিভারি চার্জ ঢাকা শহরে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলায় এসব পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার।সেখানে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।