fbpx

আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শোকাবহ ১৫ আগস্ট আজ। সমস্ত বাঙালি জাতির শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতি হারিয়েছে ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলার ইতিহাসে সবচেয়ে কালিমাময় দিন। ৪৮ বছর আগে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার নৃশংসভাবে হত্যা করে পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম ও কলঙ্কময় অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছিল ঘাতকেরা। তবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলেও ঘাতকেরা বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় থেকে তার স্থান মুছে দিতে পারেনি।

আজ শোকের দিনে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাযজ্ঞের শিকার তাঁর পরিবারের সদস্যদের।

ষাটের দশকের শেষ দিকে দেশে সুপরিচিত অনেক রাজনীতিবিদ থাকলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর নেতৃত্বগুণে অন্যদের ছাপিয়ে চলে আসেন সামনের কাতারে। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে আদর্শিক ভিত্তি করে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা।

গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশকে পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন, তখনই পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ তাঁকে হত্যা করে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধু ছাড়াও সেই রাতে তাঁর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল; পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামালকে হত্যা করা হয়।

এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে তাঁর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিলউদ্দিন আহমেদ, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও সেনাসদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হককে হত্যা করে ঘাতকেরা।

সেদিন সেনাসদস্যদের আরেকটি দল বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবলীগের নেতা শেখ ফজলুল হক মনির বাসায় হামলা চালিয়ে তাঁকে এবং তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনিকে হত্যা করে।

এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত ও তাঁর কন্যা বেবি, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্মীয় আবদুল নঈম খানকেও হত্যা করে ঘাতকেরা।
তবে সেদিন বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রানে বেঁচে যান। তারা তখন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থান করছিলেন।

১৫ আগস্টের সেই হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ করে ঘাতকদের বিচারের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২১ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর হত্যাকারীদের বিচার শুরু হয়। একই সঙ্গে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস এবং এই দিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়।

জাতীয় শোক দিবসে আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং দৈনিক পত্রিকায় থাকছে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন। এছাড়া দেশের প্রতিটি জেলায়, উপজেলায় দলীয় ও রাস্ট্রীয় নানান কর্মসূচির মাধ্যমে এই দিনটি পালন করা হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply