দেশে করোনা সংক্রমণের হার দিন দিন আরও বাড়ার কারণে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না মানুষ। আর তাই দেশের এই সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে মানুষ যেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পায়, তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার জোরালো নির্দেশনা দিয়েছেন, যেন নতুন করে আরও চার হাজার চিকিৎসক ও চার হাজার নার্সকে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হয়।
আজ সোমবার (২৬ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সচিবালয় প্রান্তে যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন।
টিকা কার্যক্রম আরও জোরদার করার নির্দেশনা দিয়ে বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, এখন ওয়ার্ড পর্যায়েও টিকা কার্যক্রমে আরও জোর দেওয়া হবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান, পুলিশ ভেরিফিকেশন ও মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই দ্রুত ৪ হাজার চিকিৎসক ও ৪ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, বেঠকে দেশের চলমান বিধিনিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাহিদ মালেক এসময় টিকার বিষয়ে বলেন, দেশে এখন পর্যাপ্ত পরিমাণে করোনা ভ্যাকসিন আছে। এরমধ্যে, অক্সফোর্ডের ৩ কোটি, সিনোফার্মের ৩ কোটি, জনসনের ৭ কোটি, রাশিয়ার ১ কোটি, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাওয়া ৬ কোটি ৮০ লাখ টিকা রয়েছে। সব মিলিয়ে ২১ কোটি ডোজের মাধ্যমে ১৪ কোটি বা দেশের ৮০ ভাগ লোককে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
টিকার বয়সসীমা ১৮ বছরে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তৃনমূল পর্যায়ে টিকার নিশ্চয়তা দিতে বাড়াতে হবে সক্ষমতা। আর টিকাকেন্দ্র বাড়ানোর পাশাপাশি সহজলভ্য করতে হবে করোনা পরীক্ষা, চিকিৎসা ও টিকাদান।
লকডাউন মেনে চলার বিষয়টিও মন্ত্রিসভার বৈঠকে গুরুত্ব পায় বলে জানান মন্ত্রী। জনগনের লকডাউন না মানাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এর ফলে ভুগতে হবে পুরো জাতিকে।