fbpx

ইভ্যালি, ধামাকা শপিংসহ ৪ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ইভ্যালি, ধামাকা শপিংসহ চার বিতর্কিত ই- কমার্স প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত করেছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইক্যাব)।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠান ইক্যাব।

সদস্যপদ স্থগিত হওয়া এই চার প্রতিষ্ঠান হলো- ইভ্যালি, ধামাকা শপিং, সিরাজগঞ্জ শপ ডটকম ও  গ্লিটার্সআরএসটি ওয়ার্ল্ড।

ই-ক্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় ওই চার কোম্পানির সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে গত ১৮ অগাস্ট ই-অরেঞ্জসহ চার কোম্পানির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল। এ নিয়ে আট ই- কমার্স প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত করলো ই-ক্যাব।

গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে এসব কোম্পানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ই-ক্যাব গত ২৮ অগাস্ট ১১ সদস্যের একটি কমপ্লায়েন্স অ্যাডভাইজারি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর সদস্যপদ স্থগিতের সুপারিশ করে।

এরই মধ্যে এসব কোম্পানির কর্ণধাররা অনেকেই দেশ ছেড়ে বাইরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার অথবা নজরদারিতে আছেন।

তবে এখন পর্যন্ত কিউকমসহ আরও কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা নিয়ে পণ্য দিতে গড়িমসি করার অভিযোগ উঠলেও, তাদের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয় নি ই-ক্যাব।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব কোম্পানির সদস্য পদ স্থগিত করে সমস্যা সমাধানে ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে কোনো অগ্রগতি না হলে সদস্যপদ বাতিল করা হবে। এদিকে বুধবারই প্রতারণার অভিযোগে ধামাকার সিইওসহ  তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

গত ১৮ জুলাই ভোক্তা ও বিক্রেতাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল ইক্যাব। ওই নোটিশের পর অভিযোগের বিষয়ে জবাব না দেওয়ায়, সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ায়, ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১ পরিচালনা না করায় এবং ক্রেতা-ভোক্তাদের পাওনা সময়মতো পরিশোধ না করায় এই ৪টি প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

সদস্যপদ স্থগিতের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো ১০ হাজার ডলার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে পারবে না, যা ইক্যাবের সদস্যরা পারে। এ ছাড়া জোটবদ্ধ অন্য সুবিধাগুলো থেকে বঞ্চিত হবে তারা।

ইক্যাবের সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন বলেন, সদস্যপদ স্থগিতের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসা পরিচালনাসংক্রান্ত কোনো সমস্যায় পড়বে না। তবে গ্রাহকেরা একটা বার্তা পাবে যে তারা নিয়মগুলো মানছে না। অন্য ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি দায়িত্বশীলতা থেকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইক্যাব।

ইভ্যালি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইভ্যালি দীর্ঘদিন ধরে বারবার সময় নেওয়ার পরও ক্রেতাদের সমস্যার সমাধান হয়নি। ইক্যাবের ওপর নির্দেশ ছিল ১৫ দিন পরপর তাদের অবস্থান জানান দেওয়ার। ইভ্যালি আমাদের প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়নি।’

শুধু তাই নয়, ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১ প্রকাশিত হওয়ার পর ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি না করা,  এমনকি ইক্যাবের অন্য সদস্যদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়  ইভ্যালির বিরুদ্ধে।

ধামাকা শপিং পূর্বনির্দেশনা ছাড়া ব্যবসায়ী কার্যক্রম বন্ধ করায় এবং অন্য দুটি কোম্পানি ইক্যাবের কারণ দর্শানোর চিঠির জবাব না দেওয়ায় তাদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply