ইরাকের অন্যতম রাজনীতিক এবং শিয়া নেতা মুক্তাদা আল-সদরের রাজনীতি ছেড়ে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই ঘোষণার পরেই দলের সমর্থকদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশব্যাপী কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ ৩০ আগস্ট (মঙ্গলবার) বিবিসি, রয়টার্স তাদের করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খরবে আরও বলা হয়েছে, দেশটিতে কারফিউ জারির পর সরকারি অফিস বন্ধ করেছে দেশটির মন্ত্রিসভা।
ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, সোমবার (২৯ আগস্ট) এই ঘোষণা দেওয়ার পর মুক্তাদা আল-সদরের অনুগত বিক্ষোভকারীরা দেশটির প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে হামলা চালায়। এতে আরও ডজন খানেক মানুষ আহত হয়েছে।
তবে ইরাকের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আরও কয়েকটি শহরে সহিংসতার পর সেনাবাহিনী দেশব্যাপী কারফিউ ঘোষণা করেছে।
বিবসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাত নামার পর মেশিনগানের গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ট্রেসারের আলোয় বাগদাদের গ্রিন জোনের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। এই গ্রিন জোনেই ইরাকের মন্ত্রণালয়গুলোর সদরদপ্তর ও বিদেশি দূতাবাসগুলোর অবস্থান। এ রাতে গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক লড়াই প্রত্যক্ষ করে ইরাকের রাজধানী।
এদিকে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, কিছু সহিংসতা মুক্তাদার অনুগত একটি মিলিশিয়া শান্তি ব্রিগেড ও ইরাকি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিওগুলোতে কিছু যোদ্ধাকে রকেট চালিত গ্রেনেড (আরপিজি) সহ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
দেশটির এই অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহব্বান জানিয়েছে।