টানা ৩২ দিন ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল । ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় অঞ্চলটিতে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১০ হাজার জনে। নিহতদের অর্ধেকেরই শিশু ও নারী। এ ছাড়া আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৬ হাজার। এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় বিপুল পরিমাণ শিশুসহ আড়াই হাজারেও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা ওয়াফা নিউজ এ প্রতিবেদনে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১০ হাজার ৫১৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪ হাজার ৩২৪ জনই শিশু। নিহতের মধ্যে নারীর সংখ্যা ২ হাজার ৮২৩ জন। এ ছাড়া ৬৪৯ জন বয়স্ক ফিলিস্তিনিও রয়েছেন নিহতদের তালিকায়। ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ২৬ হাজারেরও বেশি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার বাইরে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে নিহত হয়েছে আরও অন্তত ১৬৩ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে আরও ২ হাজার ৪০০ জন। গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর এখনো অন্তত ২ হাজার ৫৫০ জন নিখোঁজ রয়েছে। এদের মধ্যে আবার ১ হাজার ৩৫০ জনই শিশু।
এদিকে, নিহতের সংখ্যা নিয়ে গাজার স্থাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এ পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে, পরিসংখ্যানগুলি বিশ্বাসযোগ্য বলে বিশ্বাস করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মনে করেন, গাজায় নিহত মানুষের ক্রমবর্ধমান সংখ্যাই বলে দিচ্ছে, সেখানে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের স্পষ্ট কিছু ভুল রয়েছে। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি অভিযান নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে গুতেরেস বলেন, ‘আপনি যখন গাজায় নিহত বেসামরিক মানুষের সংখ্যা দেখবেন, তখন সেখানে সামরিক অভিযানের স্পষ্ট কিছু ভুল দেখবেন।’