fbpx

ঈদের আগে ভোজ্যতেলের সংকট, বেড়েছে দামও  

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঈদের আগে রাজধানীতে ভোজ্যতেলের সংকট দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ মুদি দোকানে বিভিন্ন কোম্পানির তেল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। আর এর জন্য সরবরাহ কমকে দুষছেন ব্যবসায়ীরা।

শুধু তাই নয়, বাজারে তেলের দামও বেড়ে গেছে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের ১ লিটারের দাম ১৬০ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে। আর ৫ লিটারের বোতল ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত দাম ছিল ৭৬০ টাকা। পাড়া-মহল্লার ছোট দোকানে এই দাম আরও বেশি।

খোলা তেলের দামও বেড়েছে হু হু করে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বৃহস্পতিবারের বাজারদরের তালিকা বলছে, ঢাকার বাজারে এখন খোলা সয়াবিন তেলের প্রতি লিটারের সর্বনিম্ন দর ১৮৪ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগের তুলনায় ২৯ টাকা বেশি। একইভাবে পাম সুপার তেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বেড়ে ১৬৫ টাকা হয়েছে।

পবিত্র রমজান মাস ও ঈদে ভোজ্যতেলের চাহিদা বাড়ে। কিন্তু এবার আমদানি হয়েছে কম। এছাড়া ঈদের পরে সয়াবিন তেলের দাম বাড়বে, এমন চিন্তা থেকে ব্যবসায়ীরা তেল মজুত রাখছেন- এমনটাই মনে করছেন ক্রেতারা।

বড় আমদানিকারক পরিশোধনকারীরা বলছেন, বিশ্ববাজারে যে দর, সে অনুযায়ী দেশের বাজারে দাম বাড়াতে না দিলে আমদানি কমে যাবে। তাই সরকারের উচিত সরবরাহ বাড়াতে নজর দেওয়া।

দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদার ৮০ শতাংশের বেশি আমদানি করে পূরণ করা হয়। সাত থেকে আটটি প্রতিষ্ঠান অপরিশোধিত তেল আমদানি করে পরিশোধন করে বাজারে ছাড়ে। কেউ কেউ বীজ আমদানি করেও তা ভাঙিয়ে তেল উৎপাদন করে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, চলতি বছর ১ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় দুই মাসে সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে ৯২ হাজার টন, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। একই সময়ে (১ মার্চ-২৮ এপ্রিল) ১ লাখ ৩৭ হাজার টন সয়াবিন তেল বন্দরের কাস্টম বন্ডেড ট্যাংক টার্মিনাল থেকে খালাস করেছে কোম্পানিগুলো।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশে দামের পার্থক্য থাকায় ব্যবসায়ীদের আমদানিতে উৎসাহ  কমে গেছে। তারা বলেন, বিশ্ববাজারে দাম অনেক বেশি। কিন্তু দেশে সরকার মূল্য সমন্বয় করতে দিচ্ছে না।

এর আগে দেশে ভোজ্যতেলের বাজার অস্থির হওয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সর্বশেষ গত ২০ মার্চ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৬০ টাকা নির্ধারণ করে। আর পাঁচ লিটারের দাম নির্ধারণ করে ৭৬০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানান, উৎপাদনে ঘাটতি হওয়ায় বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে। ইতিমধ্যে আর্জেন্টিনা সয়াবিন তেল রপ্তানি সীমিত করেছে। ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সরকারের এখন তদারকি বাড়ানো উচিত। আমদানি বাড়াতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। প্রয়োজনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে আলোচনা করা যেতে পারে। বিশ্ববাজারে মূল্যের ঊর্ধ্বগতি থাকায় দেশেও প্রয়োজনে মূল্য সমন্বয়ের দরকার হতে পারে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply