চলছে বৈশাখের তাপপ্রবাহ, মাঝেই মাঝেই বইছে লিলুয়া বাতাস। গ্রীষ্মের এই তীব্র গরমের মধ্যেই ঘেমে নেয়ে রাজধানীবাসী সারছেন ঈদের বাজার। ঈদের যে আর দেরি নেই। আপনজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে এরই মধ্যে রাজধানী ছেড়েছেন অনেকেই।
বৈশাখের এই সময়টাতে বৃষ্টি এবং কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি। তাইতো ঈদের দিনে বৃষ্টি থাকার কথা জানিয়েছে আবহাওয়াবিদ মো. সানাউল হক মন্ডল। বিবিএস বাংলাকে তিনি বলেন, ‘এপ্রিল মাসে দুটি তাপ প্রবাহ বয়ে গেছে। তাই গত মাসে তাপমাত্রা বেশি ছিল। তবে এ মাসের শুরু থেকেই তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত কম থাকবে। বিশেষ করে ঈদের আগের দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দুই দিন তাপ প্রবাহ থাকবে না। বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।’
কোন কোন এলাকায় বৃষ্টির হবার সম্ভাবনা রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় কালবৈশাখী ঝড়সহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে হতে পারে শিলা বৃষ্টিও। বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হতে পারে। তবে নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না, ঠিক কোন এলাকায় বৃষ্টি হবে।’
এদিকে রোদ, গরম, তাপপ্রবাহের মধ্যে কাজ করা মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। রাজধানীতে বহুদিন বৃষ্টির দেখা নেই। বৃষ্টির জন্যে অপেক্ষা করছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তারা বলছেন, রোজা রেখে রোদের মধ্যে গরমে থাকা যাচ্ছে না। ঘরে, বাইরেও একই অবস্থা। একটু বৃষ্টি হলেই বরং স্বস্তি পাওয়া যেতো।
সানাউল হক বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে গরমে অস্বস্তি বেশি লাগছে। গরমের তুলনায় ঘাম কম হচ্ছে, অপরদিকে গরম অনুভূতিটাও বেশি হচ্ছে। যেহেতু দেশে এখন আর কোন তাপপ্রবাহ বইছে না, দু’একদিনের মধ্যে দেশের সার্বিক তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমবে বলে আমরা আশা করছি।’
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।