এবারের ঈদে নাট্যকার আহসান আলমগীর রচিত ২টি ধারাবাহিক ও ৮টি একক নাটক নিয়ে আসছেন। বৈচিত্রময় জীবন ঘনিষ্ঠ, রোমান্টিক এবং সামাজিক সচেতনতামূলক বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে এইসব নাটকের গল্পে।
পরিচালক রবিউল শিকদার নির্মাণ করেছেন তিনটি নাটক। দীপ্ত টিভির জন্য ’মরনের পরে’, মাছরাঙ্গা টিভির জন্য ’বোবা পাত্রী চাই’ এবং ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ‘আফ্রিকান জামাই’। মরনের পরে নাটকটি একেবারে ভিন্ন ধরনের একটি গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে। জমজ হওয়ায় দেবর মনে করে পিটিয়ে মেরে ফেলে স্বামীকে। জমজ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সালাউদ্দিন লাভলু, দুই স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন চুমকি ও মৌ। ’বোবা পাত্রী চাই’ নাটকে অভিনয় করেছেন আখম হাসান ও ভাবনা। দুই ধারাবাহিক পরিচালনা করেছেন আল হাজেন। টিপু আলমের গল্পে বৈবশাখী টিভির জন্য নির্মাণ করেছেন ৭ পর্বের ’শিয়াল বাড়ি সিজন-৩’ প্রেমের টানে ইতালি থেকে ছুটে আসা প্রেমিকের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে এই ধারাবাহিকের তৃতীয় সিজন। এর আগে এই ধারাবাহিকের আরো দুটি সিজন নির্মিত হয়েছে। আগের দুটো সিজন জনপ্রিয় হওয়ায় এবার নির্মিত হলো তৃতীয় সিজন। এই ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন, রাশেদ সীমান্ত, মৌসুমী হামিদ, আমিরুল হক চৌধুরী, আরফান আহমেদসহ আরো অনেকে। এশিয়ান টিভির জন্য নির্মিত হয়েছে ৭ পর্বের ধারাবাহিক ’রাজশাহীর রোমিও ঢাকার জুলি’ ফেসবুকের অপব্যবহার তুলে ধরা হয়েছে এই নাটকে। অভিনয় করেছেন আরফান আহমেদ, সালহা খানম নাদিয়া, ডাঃ এজাজ, মৌ, রুমি প্রমুখ।
ঘটনা চক্রে একজন চোরের জীবন বদলে যাওয়ার গল্প নিয়ে ইউটিউব চ্যানেলের জন্য নির্মিত হয়েছে ‘ফ্যান চোর’। এতে অভিনয় করেছেন জাহের আলভী, সালহা খানম নাদিয়া ও ফারুক আহমেদ।
বাংলা ভিশনের জন্য জিয়াউদ্দিন আলম নির্মাণ করেছেন ’সেকেন্ড ম্যারেজ’ এতে অভিনয় করেছেন নীলয় আলমগীর ও হিমি। আরটিভির জন্য আলমগীর খন্দকার দুলাল নির্মাণ করেছেন ‘প্রেমের কূলখানী’ এত অভিনয় করেছেন সুপ্ত ও ফারজানা রিক্তা। একটি ড্রাগ অ্যাডিকটেড মেয়ের গল্প নিয়ে নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলের জন্য সংগীতশিল্পী এসডি রুবেল নির্মাণ করেছেন ‘এই শহরে আমি একা’। শোয়েব চৌধুরীর গল্পে ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট এর নাটক ‘অনাড়ম্বর অনুভূতি’ ও অসীম রায় নির্মাণ করেছেন ‘জাতীয় দুলাভাই’।
নাট্যকার আহসান আলমগীর বলেন, ‘আমি সব সময় চেষ্টা করি গতানুগতিকতার বাইরে ভিন্ন ধারার গল্প লিখতে, কিন্তু এই ধরনের গল্প নির্মাণ করতে অ্যারেঞ্জ বেশি থাকায় বাজেট বেশি লাগে, এবং এই ভিন্ন ধারার গল্পগুলোতে অভিনয় করতে হলে অভিনয় জানা অভিজ্ঞ শিল্পী দরকার। চকলেট হিরোদের অভিনয় দিয়ে এই সব গল্প নির্মাণ সম্ভব নয়। আজকাল ভালো গল্প নির্ভর নাটকে ভিউ কম হয় বলে অনেক নির্মাতাগণ সাময়িক বিনোদন ধর্মী গল্প নিয়ে নাটক নির্মাণ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। এত চাপের মাঝেও এবারের ঈদে আমি ‘মরনের পরে’, ‘ফ্যান চোর’, ‘শিয়ালবাড়ি-৩’ ও ‘রাজশাহীর রোমিও ঢাকার জুলি’র মত নাটকের গল্পগুলো লিখে তুপ্তি অনুভব করেছি।’
‘আমার অন্যতম এজেন্ডা হচ্ছে নাট্যকারদের রয়ালিটি প্রতিষ্ঠা করা’