fbpx

উচ্চশিক্ষার মান বাড়াতে অর্থের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাজেটে উচ্চশিক্ষায় যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল কিন্ত অর্থ যথাযথ ও মানসম্মতভাবে ব্যয় না হলে উচ্চশিক্ষাখাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হবে না। তাই শিক্ষা ও গবেষণার মান বাড়াতে বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থের সদ্ব্যব্যবহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইউজিসি এপিএ টিমের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের।

মঙ্গলবার জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে (এনআইএস) অংশীজনদের নিয়ে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. আবু তাহের বলেন, বাজেটে উচ্চশিক্ষায় যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল একথা সত্য; তবে বরাদ্দকৃত অর্থ যথাযথ ও মানসম্মতভাবে ব্যয় না হলে উচ্চশিক্ষাখাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বরাদ্দ করা অর্থের ব্যয় নিয়ে নানা অনিয়মের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে শিক্ষা ও গবেষণার মান বাড়ানোর জন্য বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থের সদ্ব্যব্যবহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিসহ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষার বিস্তারে দেশে সরকারি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৬২ টি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা ও উদ্ভাবনী গবেষণা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে ড. আবু তাহের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না। এজন্য প্রকল্পের সময় বৃদ্ধির জন্য অনেকে আবেদন করেছেন। যুক্তিসংগত কারণে কোন প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলেও কাজ শেষ করার জন্য অতিরিক্ত কোন অর্থ দেওয়া হবে না বলে তিনি জানান।

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় ইউজিসির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক চৌধুরী এম সাইফুল ইসলাম ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিবেদক মো: আক্তারুজ্জামান অংশগ্রহণ করেন।

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নের জন্য প্রতিযোগিতামূলক ও বাস্তবধর্মী লক্ষ নির্ধারণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এপিএর মূল্যায়নের ভিত্তিতে বাজেট বরাদ্দের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এজন্য এপিএ বাস্তবায়নে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দেন। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে এপিএ শতভাগ বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

ইউজিসি সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও এনআইএস এর বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট মো. মামুন এর সঞ্চালনায় জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন কমিশনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও এপিএ টিমের ফোকল পয়েন্ট মো. গোলাম দস্তগীর।

Advertisement
Share.

Leave A Reply