৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ১৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। দেশের আট বিভাগ ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে একযোগে এই পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
৪৫তম বিসিএসে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার প্রার্থী। সকাল ১০টা থেকে দুই ঘণ্টার এই পরীক্ষার মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার পদে এবং ১ হাজার ২২ জনকে নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে।
১৯ মে আগামী শুক্রবার ৪৫ তম বিসিএসসহ আরও ৮টি চাকরির পরীক্ষা তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার পরীক্ষাগুলো একই দিনে নির্ধারিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ৪৫ তম বিসিএসএ আবেদন করা প্রায় সকলেই ১৯ মে অনুষ্ঠিতব্য নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে আবেদন করেছেন।
চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষার তারিখ পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছেন। তারা বলেছেন, এমনিতেই সরকারি চাকরির বিজ্ঞাপন কম। তাছাড়া আমদের ফি পরিশোধ করে তারা আবেদন করতে হয়েছে। তাই এখন যদি তারিখ সমন্বয় না করা হয় তাহলে আমাদের আর্থিক গচ্চা যাওয়ার পাশাপাশি চাকরির জন্য প্রতিযোগিতা করাও সম্ভব হবে না।
বিসিএস ছাড়াও সমবায় অধিদপ্তর, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), বন অধিদপ্তর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা আছে।
এগুলোর মধ্যে সমবায় অধিদপ্তরের পরিদর্শক, প্রশিক্ষক, মহিলা পরিদর্শক, ফিল্ড ইনভেস্টিগেটর পদের পরীক্ষা ১৯ মে বেলা সাড়ে তিনটা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এছাড়া পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের চাকরির পরীক্ষা ১৯ মে বিকাল তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অফিস সহায়ক পদের পরীক্ষা একইদিন বিকাল ৩টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
বিসিএস পরীক্ষা ১৯ মে থাকায় অনেকেই নিজের বিভাগীয় শহরে থাকতে হবে। তাই বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিলে রাজধানীর কোন পরীক্ষায় তাদের অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবে না। অন্যদিকে বাকি পরীক্ষাগুলো হবে রাজধানীতে এছাড়া রাজধানীতে কোনো পরীক্ষার্থী থাকলেও একইসময়ে একাধিক পরীক্ষায় তারা অংশগ্রহন করতে পারবেস না। তাই সময় পেছানোর দাবি প্রার্থীদের।
একই দিনে এতগুলো সংস্থার পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষার তারিখ সমন্বয় এর দাবি জানেয়েছেন।