‘মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২২’-এর মঞ্চে অভিনেতা ও নির্মাতা মীর সাব্বিরের করা একটি মন্তব্য নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন অনুষ্ঠানটির উপস্থাপিকা ইসরাত পায়েল। সেই অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছেন সাব্বির। বিবিএস বাংলার পাঠকের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো।
‘গত ১১ নভেম্বর মিসেস ইউনিভার্সের এর একটি প্রতিযোগিতায় আমি অতিথি হয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে একটি কথা নিয়ে প্রসঙ্গক্রমে উপস্থাপিকা দুই একটি কথা বলেছেন। মঞ্চে আমার সঙ্গে কথা বলার পর দেখলাম , ওই উপস্থাপিকা তার বরাত দিয়ে দুই একটি অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত করেছেন।
এর কারণে অনেক সাংবাদিক আমাকে ফোনও করেছেন। আসলে মূল বিষয়টা ছিল, মানে বলতে পারেন তেমন কিছুই না। একটা ছোট্ট বিষয়কে হঠাৎ করে বড় করার চেষ্টা করা হয়েছে।
উপস্থাপিকা মজার ছলে আমার বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কথা শুনতে চেয়েছেন। যেহেতু আমি বরিশালের ছেলে। আমি যে কথাটা বলেছিলাম ,সেটা উপস্থাপিকা চমৎকার হেসে রিসিভ করেছেন এবং দর্শকরা তখন মজা পেয়েছেন।
আমি যেটা বলেছি সেটা তাৎক্ষণিক এবং এর পেছনে কোন উদ্দেশ্য ছিল না। কাউকে হেয় করার জন্য কিছু বলি নাই। সেটা নিশ্চয়ই সকলেই ( যারা দেখেছেন তারা বুঝতে পেরেছেন)। উপস্থাপিকা যে আমার ছোট বোনের মত।
সে যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি দুঃখ প্রকাশ করতেই পারি। সেটা নিয়ে এভাবে ফেসবুক কিংবা বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তৃতা দিয়ে ছড়ানোর কিছু নাই।
আমাকে বললেই পারত ‘দাদাভাই কিংবা ভাইয়া আপনাকে আমি রেসপেক্ট করি। আপনার কথায় আমি কষ্ট পেয়েছি।
আমি তখন হয়তো বলতাম, সরি তুমি কষ্ট পেও না। আমি তোমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য কথাটা বলিনি। কারণ তুমি আমার শব্দের মানে বুঝতে পারোনি। বিষয়টা শেষ হয়ে যেত।
আমি আমার ছোট বোনের, আমার ব্যাপারে ভুল বোঝার কারণে দুঃখ প্রকাশ করতেই পারি।
অতএব মন খারাপ না করে আমি আশা করছি, সকলের মতো আমার এই ছোট বোনটিরও আমার সম্পর্কে ধারণা এবং আমার বরিশালের আঞ্চলিক ভাষার ক্ষেত্রে (শব্দের মানে না বোঝার কারণে) যত অভিমান আছে সেটা ভুলে গিয়ে পুরো বিষয়টা পরিস্কার হবে।
আবারও ধন্যবাদ আমার সকল ভক্ত দর্শকদের। তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।যেভাবে আমার পাশে সবাই আছেন .আমাকে ভালোবাসেন.. আমার শিল্প কর্মের প্রতি অগাধ বিশ্বাস যাদের আছে তারা আমার মাথার তাজ হয়ে থাকবেন আমরণ।’