আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফি দিয়ে আজ রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ফরম পূরণ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণের ফি জমা দেওয়া যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসএসসির ফরমপূরণ বাবদ সর্বোচ্চ ২ হাজার ১৪০ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ২০ টাকা এবং মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ২০ টাকা ফি নিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এ ফিয়ের মধ্যে ব্যবহারিক ফিসহ কেন্দ্র ফি অন্তর্ভুক্ত বলেও জানিয়েছে বোর্ড।
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ফি ২ হাজার ১৪০ টাকার মধ্যে বোর্ড ফি ১ হাজার ৬২৫ টাকা ও কেন্দ্র ফি ৫১৫ টাকা। অপরদিকে ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ২ হাজার ২০ টাকা ফিয়ের মধ্যে বোর্ড ফি ১ হাজার ৫৩৫ টাকা ও কেন্দ্র ফি ৪৮৫ টাকা। আর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জের টাকা নিতে পারবে স্কুলগুলো। তবে, নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন ও সেশন চার্জ নেয়া যাবে না।
এসএসসি পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পত্র প্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্র প্রতি ৩০ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৩৫ টাকা, মূল সনদ বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের ১০০ টাকা অনুমতি বা তালিকাভুক্তি ফি দিতে হবে।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ওইএমএস/ইএফএফ অংশে ক্লিক করে ইআইআইএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করা যাবে। লগইন করে শিক্ষার্থীদের সম্ভাব্য তালিকা ডাউনলোডের পর তা প্রিন্ট করে লালকালি ব্যবহার করে টিক চিহ্ন দিয়ে পরীক্ষার্থী নির্ধারণ করতে হবে। এরপর ওয়েবসাইটের সম্ভাব্য তালিকা থেকে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। এরপর টেম্পোরারি লিস্ট ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। এরপর পে স্লিপ প্রিন্ট করতে হবে। পে স্লিপ প্রিন্ট করলে শিক্ষার্থীদের সিলেক্ট আনসিলেক্ট করা যাবে না। ফিয়ের টাকা ব্যাকে জমা দেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফাইনাল ক্যান্ডিডেট লিস্ট প্রিন্ট করা যাবে। ফাইনাল ক্যান্ডিডেট লিস্টে পরীক্ষার্থীদের স্বাক্ষর নিতে হবে ও প্রতি পৃষ্ঠায় প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষর করতে হবে। পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর সংবলিত প্রিন্ট কপি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে হবে।