fbpx

এ যেনো মরার ওপর খাঁড়ার ঘা!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শুরু হয়েছে রমজান মাস। এরপর আবার সারাদেশে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। ফলে দেশের কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে ইফতারির বাজারে নাভিশ্বাস সাধারণ ক্রেতাদের। এই তালিকায় পিছিয়ে নেই ফলের বাজারও। এই দুই অবস্থা মিলে মরার ওপর যেনো খাঁড়ার ঘা।

গ্রীষ্মের মৌসুমে বাজারে নানা রকম দেশি ফল পাওয়া যায়। আর করোনার সময় শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ফলের জুড়ি নেই। কম বেশি সবাই ইফতার কিংবা সেহেরিতে তাদের খাবারের তালিকায় কমপক্ষে একটা দেশি ফল রাখার চেষ্টা করছেন। তাই এই বাড়তি চাহিদাকে কেন্দ্র করে বেড়েছে সব ধরনের ফলের দাম।

রাজধানীর বিভিন্ন ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখন আপেল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা,মাল্টা ১৮০ টাকা, পেঁপে ১২০ টাকা, আঙ্গুর ২৬০ টাকা, পেয়ারা ৮০ টাকা, ডালিম ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

একইভাবে নাসপাতি, কমলা, কেনু, ড্রাগনসহ অন্যান্য ফলের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

দেশি ফল বাঙ্গির দামও আকাশছোঁয়া। ১০০ টাকার নিচে বাজারে কোনো বাঙ্গি মিলছে না। মাঝারি মানের একটি ভালো বাঙ্গি কিনতে গুণতে হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।

এছাড়া তরমুজ ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গেল সপ্তাহেও আর দাম ছিল ৩০ টাকা। মাঝারি আকারের একটি তরমুজ কিনতে আগের থেকে ৬০-৮০ টাকা বেশি লাগছে।

সবধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে বেড়েছে। ভালো মানের মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজার টাকা কেজি। আর খোলা ভালো মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৯০০ টাকায়।

অন্যদিকে এক ডজন সবরি বা মানিক কলা কিনতে লাগছে ১২০ টাকা। আর অলিতে গলিতে চিনি চম্পা কলা যেখানে ৩০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে, সেই কলাও এখন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, পর্যাপ্ত সরবরাহ বা আমদানি কম থাকায় ফলের দাম বেড়েছে। দেশি ও আমদানিনির্ভর সব ফলেই দামে বাড়তি। এছাড়াও লকডাউনে বাড়তি পরিবহন ভাড়া গুণতে হচ্ছে তাদের।

ক্রেতারা জানান, সাধারণ মানুষের অবস্থা অনেকটা দো ধারি তলোয়ারের মতো। যেদিকে তারা যাবে না কেনো, ভোগান্তিতে তাদেরই পড়তে হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply