fbpx

ওমিক্রনে বিপদের শব্দ শোনা যায়!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্বজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন। ইউরোপ ও আমেরিকায় ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় অনেক দেশেই পৌঁছেছে করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরণ।

ওমিক্রন ঠেকাতে ৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার সারাদেশে ১৫ দফা নির্দেশনা জারি করে ৭ দিনের মধ্যে তা কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নির্দেশনার মধ্যে আছে, সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জনসমাগমে নিরুৎসাহিত করা; পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার ও রেস্তোরাঁয় মানুষের উপস্থিতি ধারণ ক্ষমতার অর্ধেকের মধ্যে সীমিত রাখা; সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, আদালত, গণপরিবহন, ধর্মীয় উপাসনালয়, বাজারসহ সব জায়গায় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা।

২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়। পরে ৯ ডিসেম্বর জিম্বাবুয় থেকে ফেরা দুই নারী ক্রিকেটারের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ওমিক্রনে ১০ আক্রান্ত হবার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের মতো প্রায় সব লক্ষণ হলেও ওমিক্রন তিনগুণ সংক্রমণের ক্ষমতা রাখে। করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা ওমিক্রন প্রতিরোধে কতটা কার্যকর হবে, এ বিষয়ে আমরা এখনো কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি।’

তিনি বলেন, ‘নভেম্বরের সমীক্ষা অনুযায়ী দেশে এখনো ডেল্টার সংক্রমণ আছে শতভাগ। আলফা, বিটা বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে পেছনে ফেলে ওমিক্রন বাংলাদেশকে কতটা ঝুঁকিতে ফেলবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। আগামি তিন থেকে ছয় সপ্তাহ পর বাংলাদেশে ওমিক্রনের উপস্থিতি ও পরিণতি সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা আমরা দিতে পারবো বলে আশা রাখাছি।

দেশের বেশিরভাগ মানুষই এখন আর স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না উল্লেখ করে ডা. আলমগীর বলেন, ‘দেশজুড়ে যেভাবে বিয়ে, জনসভা, পিকনিক ও নির্বাচনে মানুষের সমাগম ঘটছে, তাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেও অবাক হবার কিছু নেই। বেশিরভাগই মাস্ক পড়ছেন না, নিয়মিত হাত ধুচ্ছেন না, শারীরিক দূরত্ব মানছেন না। এতে করে সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে। এখনই সর্বোচ্চ সতর্ক হবার প্রয়োজন রয়েছে।’

ওমিক্রণ বাংলাদেশের ওপর কতটা প্রভাব বিস্তার করবে, সেটি দেখার জন্য অপেক্ষা না করে এখনই হাসপাতাল, মেডিকেল সাপোর্ট, অক্সিজেন, স্বাস্থ্যকর্মীসহ সব রকমের প্রস্তুতি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন আইইডিসিআর এর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষের। প্রায় দুই বছরে সারাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৯১৫ জন।

 

Advertisement
Share.

Leave A Reply