একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও রাজনীতিবিদ কাজী রোজী মারা গেছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৩ বছর বয়সে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। করোনাসহ নানা শারীরিক জটিলতার সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি।
আজ রোববার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে সুমী সিকান্দার।
সুমী সিকান্দার জানান, একটি বেসরকারি হাসপাতালে দীর্ঘদিন তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তার মস্তিক কাজ করছিল না। মাল্টি অর্গান প্রবলেম। ফলে, ওষুধও কোনো কাজে আসছে না। একই অবস্থাতে মারা যান।
তিনি জানান, রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) কাজী রোজীর মরদেহ হাসপাতাল থেকে তার সেগুনবাগিচার বাসভবনে নেওয়া হয়েছে। দাফনের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে সুমী জানান, পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাকে মিরপুরে দাফন করা হতে পারে।
গত ৩০ জানুয়ারি কবি কাজী রোজী শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
কবি কাজী রোজী ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ২০০৭ সালে তথ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন। পরে রাজনীতিতে আসেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংরক্ষিত নারী আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
গত শতাব্দির ষাটের দশকে কবিতা লেখা শুরু করেছিলেন কাজী রোজী। কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ২০২১ সালের বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো— ‘লড়াই’, ‘পথঘাট মানুষের নাম’, ‘আমার পিরানের কোনো মাপ নেই’ প্রভৃতি।