যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এফবিআই) প্রধান ক্রিস্টোফার রে বলেছেন, করোনাভাইরাস ‘খুব সম্ভবত চীনের সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি ল্যাব’ থেকে ছড়িয়েছে।
চীনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ‘করোনার উৎস’ নিয়ে দেশটিকে আরও ‘সৎ’ হওয়ার আহ্বান জানানোর একদিন পর এ কথা বলেন এফবিআই প্রধান।
বুধবার (১ মার্চ) বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফক্স নিউজকে ক্রিস্টোফার রে বলেন, ‘এ বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তদন্ত করেছে এফবিআই এবং মনে হচ্ছে যে, কোনো একটি ল্যাব দুর্ঘটনার ফলে করোনা মহামারির উদ্ভব হয়েছে।’
মঙ্গলবার দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারির উৎস শনাক্তের চেষ্টা ব্যর্থ করতে ও এ সম্পর্কে অস্পষ্ট ধারণা দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে চীন।’
করোনা মহামারির উৎপত্তি নিয়ে এই প্রথম প্রকাশ্য বক্তব্য দিল এফবিআই।
তবে অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, করোনাভাইরাস ল্যাব থেকে ছড়িয়েছে এমন কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই।
এমনকি করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যেও ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে।
এসব সংস্থার কেউ কেউ পুরোপুরি সিদ্ধান্তে না এলেও পরোক্ষভাবে বলেছে যে, করোনাভাইরাস ল্যাব থেকে নয় বরং প্রাণী থেকে মানুষের দেহে এসেছে।
হোয়াইট হাউসও জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎস নিয়ে মার্কিন সরকারের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
২০২১ সালে চীন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ তদন্তে ‘ল্যাব থেকে করোনার উদ্ভব’ তত্ত্বকে ‘অসম্ভব’ বলে জানানো হয়।
তারপরও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই তদন্তের তীব্র সমালোচনা হয়। এরপর সংস্থার মহাপরিচালক ডক্টর তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস একটি নতুন তদন্তের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সকল অনুমানই বিবেচ্য এবং এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।’
এদিকে, এফবিআই প্রধানের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটন ‘রাজনৈতিক কারসাজি’ করছে বলে অভিযোগ তুলেছে বেইজিং।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, ‘তারা যে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তার কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।’
তবে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, করোনাভাইরাস চীনের উহানের সামুদ্রিক খাবার ও বন্যপ্রাণীর বাজারের প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়াও, করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করে আসছিল দ্য উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি। উহানের বাজারটি এই গবেষণাগার থেকে ৪০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত।