টুইটার নিয়ে প্রতিদিনই কোন না কোন খবর দিয়ে গণমাধ্যমে শিরোনাম হচ্ছেন টেসলাপ্রধান ইলন মাস্ক। ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকায় কোম্পানিটি কিনে নেয়ার পর অনেকটাই খাম খেয়ালিপনায় ব্যস্ত এ ধনকুবের। সবশেষ খবর ছিল, ব্লু ব্যাজ কিনতে আট ডলার গুণতে হবে ব্যবহারকারীকে। এরপরই ঘোষণা এলো, কর্মীদের প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হবে, তাও আবার সপ্তাহে সাত দিন! না পোষালে চাকরি ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দিতে ভোলেন নি।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, খরচ কমাতে টুইটারের অর্ধেক কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছেন ইলন মাস্ক। মাস্কের পরিকল্পনার বিষয়ে অবগত ব্যক্তিরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি টুইটারের প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কর্মী ছাঁটাই করতে চান।
বর্তমানে টুইটারে সাড়ে সাত হাজার কর্মী রয়েছেন। যেসব কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে, তাদের আগামীকাল শুক্রবার জানিয়ে দিতে পারেন মাস্ক।
কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নিয়ে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন এর আগে অস্বীকার করেছিলেন মাস্ক। গত মাসে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, টুইটারের প্রায় ৭৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছেন মাস্ক।
কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনার বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি টুইটার।
একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স চলতি সপ্তাহের শুরুতে জানিয়েছিল, মাস্ক প্রথম দফায় টুইটারের এক–চতুর্থাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার কিনেই পরাগ আগারওয়ালকে কোম্পানির সিইওর পদ থেকে সরিয়ে দেন মাস্ক। একই সঙ্গে প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সিগাল ও আইন-নীতিমালাবিষয়ক প্রধান বিজয়া গাড্ডেকেও অপসারন করে দেন ইলন মাস্ক।
এরপর মাস্ক টুইটারের আগের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছেন। তারপর নিজেই হয়েছেন কোম্পানির বোর্ডের একমাত্র পরিচালক। টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে কাজ করবেন তিনি।
জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিটিতে যেকোনো জায়গায় বসে কাজ করার বিদ্যমান নীতি বাতিল করতে চান মাস্ক। সে ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কর্মীদের অফিস বসেই কাজ করতে হবে।