fbpx

কাঁচি দিয়ে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিলেন শিক্ষক, একজনের আত্মহত্যার চেষ্টা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে ১৪ ছাত্রের চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত সেই সহকারী প্রক্টরের নাম ফারহানা ইয়াসমিন।

গেল রবিবার পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে জোর করে ফারহানা ইয়াসমিন কাঁচি দিয়ে শিক্ষার্থীদের চুল কেটে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। ঘটনায় মর্মাহত হয়ে নাজমুল হাসান তুহিন (২৫) নামের এক শিক্ষার্থী সোমবার রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বর্তমানে তিনি এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

একই বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর ও জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত হওয়া পারীক্ষার সময়সূচি নিয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিনের সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়। সে সময় তাদের চুল কেটে নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষার হলে যেতে বলেন ওই শিক্ষক।

এর পরের দিন পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় ১৪ জন ছাত্র চুল কেটে না আসায় তাদের মাথার সামনের অংশের চুল কেটে দেন তিনি। সেদিন রাতেই অপমান মেনে না নিতে পেরে নাজমুল কিছু ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তার বন্ধুরা বিষয়টি বুঝতে পেরে সাথে সাথে তাকে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

জানা গেছে, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান তুহিন মাগুরার বাসিন্দা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম ছাত্রাবাসে থাকেন। বিভাগীয় প্রধান ফেরদৌস হিমেল লাঞ্ছিত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ওই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা চেষ্টার খবর ছড়িয়ে পড়লে সোমবার রাতেই প্রতিবাদ-মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে ওই শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেন তারা। ওই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সোহরাব আলীসহ অন্য শিক্ষক ও কর্মচারীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও সকালে আবার বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

তবে এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো বিষয় আমার জানা নেই। এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি, তাও বলছি না। তবে কয়েক দিন আগে কিছু ছাত্র আমার কাছে এসে পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে বলেছিল। আমি এতে রাজি হইনি।  হয়তো সেই রাগে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা।’

ফেসবুকে ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অন্য বিভাগের ছাত্ররা গুজব ছড়াতে ফেসবুকে এসব দিয়েছে। আমার বিভাগের কোনো ছাত্র দেয়নি। এটা গুজব।’

তিনি বদরাগী—শিক্ষার্থীদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার একটু রাগ বেশি, ঠিক আছে। কিন্তু আমি কখনো কাউকে বকাঝকা করি না।’

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) আবদুল লতিফ বলেন, ‘এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply