প্রাচীনকালে কাঠের চিরুনির প্রচলন ছিল। তখন চুলের এত সমস্যা প্রকট ছিল না। এখন প্লাস্টিকের চিরুনির আধিক্যের কারণে চুলে দেখা যায় নানা সমস্যা। কারণ প্লাস্টিকের চিরুনিতে আছে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক উপাদান যা চুলের জন্য উপকারী নয়। চুল আঁচড়ানোর জন্য কাঠের চিরুনি ব্যবহার করেন, তাহলে তার উপকারিতাও চোখে পড়বে। দেখে নেওয়া যাক, কেন কাঠের চিরুনিকে চুলের যত্নে সবচেয়ে কার্যকরি মনে করা হয়।
চুল পড়া
জট পড়া চুলে চিরুনি চালালে চুল ছিঁড়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি। বিশেষ করে প্লাস্টিক বা ধাতুর চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে যে স্থিরতড়িৎ উৎপন্ন হয়, তাতে চুল ছিঁড়ে ঝরে পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। কিন্তু কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে এমন সমস্যা হয় না।
চুলে পুষ্টি পৌঁছে দেয়
চুলে পুষ্টিগুণ বাড়াতে চাইলে কাঠের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ান। আমাদের চুল ও স্ক্যাল্পে প্রাকৃতিক যে তেল মজুত থাকে কাঠের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ালে তা সমানভাবে সব জায়গায় ছড়িয়ে যেতে পারে। ফলে চুলের বা স্ক্যাল্পের নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় প্রাকৃতিক তেল জমা হয় না। পাশাপাশি চুলের গোড়া শক্ত হয়।
খুশকি নির্মূল করে
যত সমস্যার মূল মাথার তালু। কারণ, খুশকি বা মৃত কোষ— সবই জমে সেখানে। প্লাস্টিকের বা শিং দিয়ে তৈরি চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়ানোর সময়ে সেগুলির সঙ্গে প্রচুর চুলও উঠে আসতে থাকে। কিন্তু কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে এই ধরনের সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
নতুন চুল গজায়
কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। ফলে চুলের ফলিকলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছয়। এ ছাড়াও মাথার ত্বক থেকে যে সেবাম বেরোয়, তা মাথার ত্বকের সর্বত্র পৌঁছে দেওয়া সহজ হয় কাঠের চিরুনি ব্যবহারে।
কাঠের চিরুনি পরিষ্কার করবেন কী ভাবে?
কাঠের চিরুনি পরিষ্কার করতে ব্যবহার করতে পারেন পেট্রোলিয়াম জেলি। চিরুনির গায়ে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখিয়ে রেখে দিন বেশ কিছুক্ষণ। তারপর শুকনো কাপড় দিয়ে ঘষে মুছে ফেলুন।কাঠের চিরুনি পরিষ্কার করার আরও একটি উপায় হলো তেল। এক্ষেত্রে ফ্ল্যাক্সসিড বা তিসির তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এই তেল চিরুনিতে মাখিয়ে রেখে দিন ঘণ্টাখানেক। তারপর সুতির শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।