fbpx

কান্নায় ভেঙে পড়লেন ত্ব-হার স্ত্রী, ফেরত চান স্বামীকে (ভিডিও)

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গত ৮ জুন রাজধানীর গাবতলী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান। থানায় তার স্ত্রীর দেওয়া ফোন নম্বর অনুযায়ী লোকেশন দেখে এমন তথ্য নিশ্চিত হয়েছে পল্লবী থানা পুলিশ।

তিনি নিখোঁজ হবার সময় তার সাথে ছিলেন সহকর্মী আব্দুল মুহিত আনসারী, ফিরোজ আলম ও গাড়ি চালক আমির উদ্দিন।

১৬ জুন (বুধবার) এক সংবাদ সম্মেলনে ত্ব- হার স্ত্রী জানান, নিখোঁজের আগে রাত আড়াইটার দিকে তার সাথে কথা হয় স্ত্রী সাবিকুন্নাহারের। এসময় গাবতলী এলাকার লোকেশন স্ত্রীর ফোনে পাঠান আদনান। তারপর আর বাসায় ফেরেননি তিনি। নিখোঁজ রয়েছেন তার সাথে থাকা বাকিরাও। স্বজনরা জানান, ঘটনার দিন বিকেলেই আদনানের সন্দেহ হয় কেউ তাকে অনুসরণ করছে।

এরপর ত্ব-হার স্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে রাজধানীর দারুসসালাম থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ জানায়, আদনানের সর্বশেষ লোকেশনে দেখা গেছে রংপুরে। তাই সেখানকার পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে বলা হয়। এরই জের ধরে গত শুক্রবার (১১ জুন) রংপুর কোতওয়ালী থানায় জিডি করেন আদনানের মা।

পুলিশ বলছে, আদনানের ফোনের সর্বশেষ উপস্থিতি ছিল গাবতলী ও মিরপুর ১১-এর মাঝামাঝি এলাকায়। তাকে খুঁজে পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।

তবে ত্ব-হাকে খুঁজে পেতে সাংবাদিকদের কাছে হাত জোর করে কান্নায় ভেঙে পরেন স্ত্রী সাবিকুন্নাহার।

তিনি বলেন, ‘আপনারা চাইলেই আমার স্বামীকে ফিরে পাব। আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেন, না হলে আমাকে তার কাছে দিয়ে আসেন। আমি এমন জীবন চাইনা আমি তাকে খুব ভালোবাসি তাকে ছাড়া এমন জীবন আমি চাইনা।’

গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ত্ব-হাসহ তারা চারজন নিখোঁজ হবার পর থেকে এখন পর্যন্ত এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন খোঁজ না মেলায় চরম দুঃশ্চিন্তায় নিখোঁজ চারজনের পরিবার।

আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান রংপুরের কারমাইকেল কলেজ থেকে দর্শন বিভাগে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। কিশোর বয়স থেকে আরবীর প্রতি আকর্ষণের কারণে একটি কওমি মাদ্রাসা থেকে আরবী শিক্ষা নেন তিনি। ‘আলোকিত জ্ঞানী’ নামে টেলিভিশনের ইসলামী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচিতি পান আদনান।পরে বিভিন্ন মসজিদে খুতবা দেওয়া এবং সেগুলোর ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে নিজের জায়গা তৈরি করেন।

তাকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও র‍্যাব সদর দপ্তরে আবেদন করেছে তার স্বজনরা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply