fbpx

কোঁকড়া চুলের যত্নআত্তি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কোঁকড়া চুল দেখতে দারুণ সুন্দর। কিন্তু এই চুলের যত্ন নেওয়া বেশ কঠিন। কারণ কোঁকড়া চুল সহজেই উষ্কখুষ্ক হয়ে যায়। এ ধরনের চুলে জট পড়ার প্রবণতাও বেশি।বে নিয়মিত যত্নের ফলে কোঁকড়া চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও সুন্দর দেখাবে। সঠিক যত্নের অভাবে কোঁকড়া চুল আরো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া অনেকেই সারা দিন এত ব্যস্ত থাকেন, চুলের যত্ন নেওয়া হয়ে ওঠে না। তবে সহজ কয়েকটি উপায় জানলে কোঁকড়া চুলের যত্ন নিতে পারবেন সহজেই।

কোঁকড়া চুলের যত্নআত্তি

চুল ধোয়া

চুল স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য অত্যাবশ্যকীয় কাজ হলো নিয়মিত চুল ধোয়া অথবা পরিষ্কার করা। ঠিকভাবে চুল না ধুলে তাতে ধুলাবালি, ক্ষতিকারক তেল আর খুশকি লেগে থাকে। ফলে চুল ঝরে যাওয়া ও ভেঙে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত চুল না ধোয়ার প্রধান উপসর্গ হলো চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যাওয়া। এর ফলে হালকা টান লাগলেও চুল আলগা হয়ে যায়।

শ্যাম্পু বাছাই

অ্যালকোহল, সালফেট এবং প্যারাবিনের মতো কেমিক্যাল উপাদানমুক্ত মিল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুতে হবে। অন্যথায় এগুলো মাথার ত্বক চুলকাবে।

কোঁকড়া চুলের যত্নআত্তি

শ্যাম্পু করার আগে

বেশির ভাগ সময় দেখা যায় কোঁকড়া চুল খুবই শুষ্ক হয়। তাই শ্যাম্পু করার আগে চুলগুলোকে প্রস্তুত করে নিতে হেয়ার মাস্ক বা কন্ডিশনিং অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলের রুক্ষভাব দূর হয়ে যাবে আর শ্যাম্পুও অধিক কার্যকর হয়ে ওঠবে।

চুল ছাঁটানো

৬-৮ সপ্তাহ পর পর চুলের আগা কাটতে হবে। এতে চুলের ভঙ্গুরতা কমে। কোঁকড়া চুল স্বাস্থ্যোজ্বল হলে ভালো দেখায়।

ব্রাশ চিরুনি ব্যবহার না করা

চুলে ব্রাশ ব্যবহারের পরিবর্তে মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করার আগে অবশ্যই চুল আচড়াবেন। চুল ধোয়ার পর আঙুল দিয়ে চুলগুলো আলগা করুন।

কোঁকড়া চুলের যত্নআত্তি

ঠান্ডা পানি

মাথার ত্বকে গরম পানি লাগালে তা চুলে থাকা প্রাকৃতিক তেল কিংবা সিরামের কার্যকারিতা নষ্ট করে ফেলে। এটি চুলের গোড়াও দুর্বল করে দিতে পারে। যার ফলে চুলের স্ট্র্যান্ডগুলো কুঁচকে যাওয়ার পাশাপাশি ভেঙেও যায়। এসব জটিলতা এড়াতে চুলে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন।

চুলে হিট দেওয়া

মাঝারি তাপমাত্রায় চুলে হিট দিতে হবে। তবে অবশ্যই ভালোমানের আয়রন মেশিন দিয়ে মাঝে মাঝে চুলে হিট দেওয়া ভালো।

কোঁকড়া চুলের যত্নআত্তি

ঘুমানোর আগে

রাতে ঘুমানোর আগে খোঁপা কিংবা হালকা করে চুলগুলো পনিটেল করে বেঁধে নিন। এটি চুলের সঙ্গে বালিশের ঘর্ষণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া সুতি কিংবা অন্য কাপড়ের পরিবর্তে সিল্কের বালিশের কভার ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলে ড্যামেজ কম হবে।

কোঁকড়া চুলের যত্নআত্তি

 

মোটা ও ফাঁকা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার

চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত চুল আচড়াতে হবে যাতে কোনো জট না লাগে।

তেল ম্যাসাজ

পাতলা নারকেল তেল ব্যবহার করতে হবে কোঁকড়া চুলে। মাথার ত্বকে তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। রাতে তেল দিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলুন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply