fbpx

বাড়িতে অবস্থানকালে কোভিড রোগীর হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে করণীয়

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কে ভেবেছিলো এই দিন আসবে। এই মৃত্যু উপত্যকা আমাদের দেখতে হবে। এক কঠিন সময় পার করছে গোটা বিশ্ব। প্রতিদিন কোভিড আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। হাসপাতালে বেডের আকাল। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের হাতের নাগালের প্রায় বাইরেই হাসপাতালে একটা সিট পাওয়া। আর আইসিইউ এর কথা তো ভাবনাতেও আনা যাচ্ছে না। তাই বেশির ভাগ কোভিড রোগীদের বাড়াবাড়ি না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকেরা বাড়িতেই আলাদা থাকতে উপদেশ দিচ্ছেন। কিন্তু বাড়িতে যদি হঠাৎ আপনার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, কীভাবে সামলাবেন নিজেকে? চিকিৎসকেরা এক বিশেষ পদ্ধতির কথা বলছেন, যার নাম প্রোনিং। বিশেষ পদ্ধতিতে খুব সাবধানে যদি আপনি উপুর হয়ে পেটের উপর ভর দিয়ে শুতে পারেন, তাহলে শ্বাস-প্রশ্বাসে অনেকটাই সুবিধা হবে। কোভিড আক্রাতন্তদের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে এই পদ্ধতি খুব কার্যকর হতে পারে।

কোভিড হলে সারাদিনে নিয়ম করে শরীরের অক্সিজেন সম্পৃক্ততা মাপতে হবে। যদি দেখেন অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ এর নিচে নেমে গিয়েছে, তাহলে প্রোনিংয়ের পদ্ধতি শুরু করুন। কারণ অক্সিজেন পেতেও সাহায্য করে এই পদ্ধতি।

কীভাবে করবেন

৪-৫টা বালিশ সঙ্গে রাখুন। প্রথমে ধীরে ধীরে উপর হয়ে শুতে হবে। একটা বালিশ মুখ বা গলার কাছে রাখবেন, ২টা থেকে ৩টা বালিশ বুকের নীচ থেকে পেটের নীচ অবধি রাখবেন। আরেকটা বালিশ পায়ের তলায় রাখবেন। উপুর হয়ে আধ ঘণ্টা বা ঘণ্টা খানেক থাকতে পারেন। তারপর ধীরে ধীরে ডান দিকে ঘুরে যেতে হবে। এভাবে আপনি আপনার সুবিধে মতো আধ ঘণ্টা থেকে ঘণ্টা দুয়েক থাকতে পারেন। তারপর বালিশ পিঠের কাছে রেখে বসে থাকতে হবে আরও আধ ঘণ্টা থেকে ঘণ্টা দুয়েক। তারপর শুয়ে আবার বাম দিক ফিরে শুতে হবে। ফের ঘণ্টা দুয়েক থাকার পর শুরুর মতো উপুর হয়ে শুতে হবে।

এক্ষেত্রে, ঘন ঘন পাশ ফিরে শোওয়ার উপদেশ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। আধ ঘণ্টা থেকে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত একইভাবে শুতে পারেন। তবে প্রত্যেক আধা ঘণ্টায় দিক বদলানোই ভাল। সুবিধামতো বালিশের জায়গা একটু অদলবদল করে নেবেন। খাওয়ার আধা ঘণ্টা পরই শুরু করবেন এই পদ্ধতি।

কাদের জন্য উপযুক্ত নয়

১। গর্ভবতী মায়েদের জন্য

২। যাদের অনেক বেশি হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে

৩। যাদের মেরুদণ্ডে কোনও রকম সমস্যা রয়েছে।

অন্যকে সাহায্য করবেন যেভাবে

হয়ত আপনার কোনও বাড়ির লোকের হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। কিন্তু তখনই অন্য কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। রোগীরও এমন পরিস্থিতি নয়, যে নিজেই এই পদ্ধতি মেনে চলবেন। সে ক্ষেত্রে কী করণীয়? রোগীর দেহের নীচে একটা চাদর পাততে হবে। আরেকটা চাদর হাতের নিচ দিয়ে মুড়িয়ে দিন। যাতে চাদর ধরে টানলে আপনি তাকে একদিক থেকে অন্যদিক গড়িয়ে দিতে পারেন। এভাবে আপনাকে বারবার বিছানায় রোগীর জায়গা বদল করে  দিতে হবে।

মনে রাখবেন, আপনি যখন রোগীকে হাসপাতালে নিতে পারছেন না, আবার রোগীর অবস্থাও খারাপ তখন এই পদ্ধতি গ্রহণ করুন। আর যদি বোঝেন রোগী এভাবেও স্বাভাবিক হচ্ছে না, তখন অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply