fbpx

ক্যাটাগরি অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালের ফি নির্ধারণ করে দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মান অনুয়যায়ী একটি ক্যাটাগরি করে, সে অনুযায়ী ফি নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, দেশের একেক বেসরকারি হাসপাতাল ও অন্যান্য সেবা খাতের একেক রকমের চার্জ, টেস্ট ফি সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য প্রাইভেট স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সরকারিভাবে একটি গাইডলাইন তৈরি করে হাসপাতালগুলোর মান অনুযায়ী— ক্যাটাগরি তৈরি করে সেই ক্যাটাগরির মান অনুযায়ী ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

রবিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সারাদেশের বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ক্যাটাগরি নির্ধারণ বিষয়ে পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এ সংক্রান্ত একটি কমিটি করে এক মাসের মধ্যেই একটি সিদ্ধান্তে উপনিত হবো আমরা। এতে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি পাবে, যত্রতত্র ফি দিয়ে দেশের জনগণের অযাচিত অর্থ ব্যয় হবে না।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বেসরকারি হাসপাতালের বেড সংখ্যা, যন্ত্রপাতি, অবস্থান, লোকবল, সুযোগ-সুবিধা ভেদে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ, বি, সি, ডি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দেওয়া হবে। ‘এ’ ক্যাটাগরির এক রকম সুবিধা, ‘বি’ ক্যাটাগরির এক রকম সুবিধা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরি হাসপাতালগুলো মান ভেদে এবং সুযোগ-সুবিধা উল্লেখসহ সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট ফি নির্ধারণ করা থাকবে। এতে মানুষ আগে থেকেই জানতে পারবে, কোন হাসপাতালে গেলে কী কী কি সুবিধা পাওয়া যাবে এবং চিকিৎসা বাবদ কত ব্যয় হবে।

জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘সারা দেশে বর্তমানে অলিতে-গলিতে ক্লিনিক হয়ে গেছে। কিছু ক্লিনিক মানসম্মত সেবা দিলেও অধিকাংশেরই সেবার মান ভালো না। ‘ফি’-ও নেওয়া হয় ইচ্ছেমতো। স্ট্যান্ডার্ড ও নিয়ম অনুযায়ী যন্ত্রপাতি নাই, কিন্তু মেশিন আছে যেগুলো, সেগুলোও ঠিক মতো কাজ করে না। সিট অনুযায়ী অন্যান্য বিষয় অনুপস্থিত রয়েছে। মানসম্পন্ন চিকিৎসক থাকে না, অথচ ফি নেওয়া হয় অনেক বেশি। এসব অনিয়ম আর চলতে পারবে না।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছর দেশে ৮ জন ব্যক্তি নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই ৮ জনের মধ্যে ৫ জনই মারা গেছেন। এজন্য দেশবাসিকে শীতকালীন খেজুরের রস খাওয়ার ব্যাপারে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply