fbpx

খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ও বরিশাল সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।

দুই সিটিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সিসিটিভির মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচনের কার্যক্রম মনিটর করা হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্র ও ভোট কক্ষে স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। মাঠে নামানো হয়েছে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। আরো রয়েছেন নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা। এর মধ্যে খুলনায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে খুলনায় মোতায়েন করা হয়েছে ১১ প্লাটুন বিজিবি। শনিবার দুপুর থেকেই নগরীর বিভিন্ন স্থানে টহল দিতে শুরু করেছেন বিজিবি সদস্যরা। এছাড়া নির্বাচনে র‌্যাব সদস্য ছাড়াও আরো ৪ হাজার ৮২০ জন পুলিশ ও ৩ হাজার ৪৬৭ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। সার্বিক পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে থাকবেন ৪৪ জন নির্বাহী হাকিম ও ১০ জন বিচারিক হাকিম।

খুলনা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে খুলনা সিটি নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্কুলার অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়ে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আনসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। খুলনা মেট্রো পুলিশ, জেলা প্রশাসন, পুলিশের কর্মকর্তারা সতর্ক আছেন। বরিশাল সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আশা করছি, সুন্দর পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন। সেইসঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারবো আমরা।’ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

খুলনা সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ ও নারী ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন। এ সিটিতে মেয়র পদে পাঁচজন, সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের আওতায় ভোট কেন্দ্র রয়েছে মোট ২৮৯টি। এগুলোর মধ্যে এবারের নির্বাচনে ১৬১টি কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ১২৮টি কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে খুলনা মহানগর পুলিশ। অর্থাৎ মোট কেন্দ্রের ৫৬ শতাংশই ঝুঁকিপূর্ণ ধরে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক, জাতীয় পার্টির (জাপা) শফিকুল ইসলাম মধু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল আউয়াল, জাকের পার্টির এসএম সাব্বির হোসেন ও স্বতন্ত্র হিসেবে এসএম শফিকুর রহমান। তবে মনোনয়নপত্র জমার পর থেকেই মেয়র পদে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ হারিয়েছেন খুলনার ভোটাররা। বিএনপির কেউ অংশ না নেয়ায় নির্বাচনী মাঠ ফাঁকা হয়ে যায় নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেকের। বর্তমানে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও খালেকের সঙ্গে অন্যদের ব্যবধান অনেক বলে মনে করছেন ভোটাররা। তাই মেয়র প্রার্থীদের ছাপিয়ে এখন আলোচনায় কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তবে বেশির ভাগ কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই পরস্পরের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন।

অন্যদিকে, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাত প্রার্থী। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে ইকবাল হোসেন তাপস, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকে মিজানুর রহমান বাচ্চু, টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন, হাতি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান ও হরিণ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন হাওলাদার। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ভোটের মাঠে রয়েছেন ১৬০ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ১১৮ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ৪২ জন।

বরিশাল নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। নির্বাচনে ১২৬ প্রিসাইডিং অফিসার, ৮৯৪ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ১ হাজার ৭৮৮ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply