রোজার আগেই নানা অজুহাতে বাড়তে শুরু করেছে খেজুরের দাম। রোজার মাসে অন্যান্য সময়ের তুলনায় খেজুরের চাহিদা বেশি থাকে। এজন্য প্রতিবছর এই সময়ে খেজুরের দাম বাড়তি থাকে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, গত বছরের রমজানে চট্টগ্রামের ফলমন্ডির পাইকারি বাজারে পাঁচ কেজি ওজনের ‘মরিয়ম খেজুর’ বিক্রি হয়েছিল তিন হাজার টাকায়। এবার তা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিন হাজারে। খুচরায় কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
আমদানিকারকরা বলছেন, ডলারের সংকটে আমদানিতে সৃষ্ট জটিলতা, তেলের দাম বাড়ায় জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কারণে খেজুরের দাম বেড়েছে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, ‘পর্যাপ্ত খেজুর আমদানি হয়েছে। যেসব খেজুর আমদানি করা হয়েছে সেগুলো খালাসের আগে আমরা যাচাই-বাছাই করেছি। নষ্ট, পচা খেজুর এবার আমদানি করা হয়নি।’
চট্টগ্রামের খেজুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এস কে ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ শফিউল আজম টিপু বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার মানভেদে খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ডলার সংকট, জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধিসহ আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় খেজুরের দাম বেড়েছে। তবে পর্যাপ্ত খেজুর এবার আমদানি হয়েছে। সংকট হবে না।’