অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় বলছে, (কোভিড-১৯) করোনা সুরক্ষায় প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে আলাদা দুটি প্রতিষ্ঠানের টিকা নিলে এই ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় বেশি কাজ করে।
‘কম-কোভ ট্রায়াল’ নামের এই গবেষণায় দেখা গেছে, যে ফাইজার বা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দুটি করে ডোজে সংমিশ্রণে করোনা সুরক্ষায় বেশি কাজ করছে।
আর এই তথ্যের ফলে সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবহার আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গবেষণায় আরও জানা যায়, অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুইটি ডোজ গ্রহণকারীরা যদি বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় আরেকটি প্রতিষ্ঠানের টিকা নেন। তাহলে সেটি তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রফেসর জোনাথন ভ্যান-ট্যাম জানান, যুক্তরাজ্যে যেভাবে একই প্রতিষ্ঠানের পরপর দুই ডোজ টিকা সফলভাবে দেওয়া হচ্ছে, যেহেতু তাদের যথেষ্ট পরিমাণে টিকার সরবরাহ রয়েছে এবং মানুষকে সুরক্ষা দিতে পারছে। ভবিষ্যতে হয়তো নতুন এই গবেষণার ফলাফলের দ্রুত কাজে দিবে।
তিনি আরও মনে করেন, টিকার সংমিশ্রণ বুস্টার কর্মসূচীকে আরো সহজ করবে। এছাড়া টিকার সংকটে থাকা দেশে এটি সহায়ক হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন ইতোমধ্যেই বিশ্বের অনেক দেশ টিকার মিশ্র ব্যবহার শুরু করেছে।
এদিকে স্পেন আর জার্মানিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা যারা প্রথম ডোজ হিসেবে পেয়েছেন। তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজার বা মর্ডানার টিকা গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। যদিও এজন্য তারা টিকার কার্যকারিতার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বিরল রক্ত জমাট বাধার মতো সমস্যা এড়ানোর জন্য।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এই কম-কোভ পরীক্ষায় ৫০ বছরের বেশি বয়সী ৮৫০ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর গবেষণা চালানো হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পরবর্তী ছয় মাস পরে আরেকটি ডোজ নেয়া হলে সেটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে।
তথ্য সূত্র বিবিসি বাংলা