fbpx

গাজার অর্ধেক মানুষই অনাহারে: জাতিসংঘ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলছে ইসরায়েলের বর্বরোচিত বিমান হামলা ও স্থল অভিযান। ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ায় গাজার অর্ধেক মানুষই অনাহারে রয়েছে। গাজা পরিদর্শনের পর এ কথা বলেছেন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) ডেপুটি ডিরেক্টর কার্ল স্কাউ।

গত শুক্রবার গাজা পরিদর্শন করেন তিনি। এরপর সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, ‘এখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই। মানুষ অভুক্ত থাকছে। প্রয়োজনীয় ত্রাণসহায়তার সামান্যই গাজায় ঢুকতে পারছে।’

ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার দিকে ইঙ্গিত করে কার্ল বলেন, ‘আমরা আমাদের সাধ্যমতোই ত্রাণ বিতরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু গাজার পরিস্থিতির কারণে ত্রাণ পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।’

চলতি সপ্তাহে ডব্লিউএফপি দলের গাজা পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে কার্ল আরও বলেন, তাঁরা গুদাম ও বিতরণকেন্দ্রগুলোর সামনে হাজারো ক্ষুধার্ত মানুষকে মরিয়া হয়ে অপেক্ষা করতে দেখেছেন। সেখানকার দোকানগুলো ছিল শূন্য। আর শৌচাগারের সামনে ছিল দীর্ঘ লাইন।

সংঘাত শুরুর পর শুধু মিসরের সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিং উন্মুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে সীমিত পরিমাণে সাহায্য গাজায় পৌঁছাতে পারছে। চলতি সপ্তাহে ইসরায়েল আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইসরায়েল থেকে গাজায় প্রবেশের কেরাম শালোম ক্রসিং খুলতে সম্মত হয়েছে। তবে তা শুধু সাহায্য লরি পরিদর্শনের জন্য। এরপর ট্রাকগুলো রাফাহ হয়ে গাজায় প্রবেশ করবে।

গাজার দক্ষিণে অবস্থিত খান ইউনিস শহরের পরিস্থিতিও প্রচণ্ড ভয়াবহ। শহরের একমাত্র অবশিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্র নাসের হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি এবং বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আহমেদ মোগরাবি খাবারের অভাব নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন।

তিনি বলেন, ‘আমার তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। সে আমার কাছে কিছু মিষ্টি, কিছু আপেল, কিছু ফল চায়। আমি দিতে পারি না। আমি অসহায় বোধ করি। এখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই। আছে শুধু ভাত। আপনি বিশ্বাস করতে পারেন? আমরা দিনে একবার, মাত্র একবার খাই!’

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ৭০০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। নিহত ফিলিস্তিনিদের ৭০ ভাগই নারী ও শিশু। শুধু নিহত শিশুর সংখ্যাই ৭ হাজারের বেশি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply