fbpx

গ্রিস উপকূলে অভিবাসন প্রত্যাশী ৫০০ জন নিখোঁজ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বলছে, গ্রিস উপকূলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫০০ জন নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ৭৮ জন নিহত ও উদ্ধার হয়েছেন শতাধিক। খবর বিবিসি।

সংস্থার মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স জানান, ‘ভয়াবহ বিয়োগান্তক’ এই ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছে।

এই প্রাণহানির জন্য মানব পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি। সঙ্গে যোগ করেন, এই সব ঘটনায় সমুদ্রে অনুসন্ধান ও উদ্ধার একটি ‘আইনি ও অবশ্যপালনীয় মানবিক’ দায়িত্ব।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের সঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতিতে শরণার্থী সংস্থাটি বলেছে, প্রাণহানি রোধ করতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালাতে হবে।

৭৫০ জন আরোহী নিয়ে মাছ ধরার নৌকাটি দক্ষিণ গ্রিসের পাইলোস থেকে ৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ডুবে যায়। এ ঘটনায় কোস্টগার্ডের ভূমিকা তদন্তের আওতায় এসেছে।

এর আগে কোস্টগার্ড জানিয়েছিল, সাহায্যের প্রস্তাব দিলে নৌকা থেকে বলা হয়, তার ইতালি যাওয়া ছাড়া কিছুই চান না। এর ঘণ্টা খানেক পর নৌকাটি ডুবে যায়। তবে নৌকার সঙ্গে কোস্টগার্ডের জাহাজের দড়ি বাধা ছিল বা এর সঙ্গে দুর্ঘটনার কোনো সম্পর্ক আছে কি না এমন বিষয়ে জোরালো তর্ক চলছে গ্রিসে।

গ্রিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আইওনিস সারমাস বলেছেন, নৌকাটি কী কারণে ডুবেছে তা জানতে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে।

এর আগে জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির বরাত দিয়ে গ্রিসের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, ওই নৌকায় ১০০ শিশু ছিল। হেলেনিক রেড ক্রসের স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকারী চিকিৎসক জর্জিওস ভাসিলাকোস বলেছেন, বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে কোনো নারী ও শিশু নেই। পুরুষদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ডেকের নিচে ছিলেন নারী ও শিশুরা। এ কারণে দ্রুত ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে তারা বের হতে পারেননি।

গত ১৩ জুন গভীর রাতে ইইউ সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের একটি উড়োজাহাজ আন্তর্জাতিক জলসীমায় নৌকাটি দেখতে পায়। ওই নৌকায় কারো লাইফ জ্যাকেট ছিল না বলে জানায় কোস্টগার্ড।

নৌকাটি লিবিয়া থেকে ইতালি যাচ্ছিল। এর আরোহীদের অধিকাংশই ২০ বছর বয়সী পুরুষ।

গ্রিসের টিভি জানিয়েছে, মানব পাচারে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজন মিসরীয়সহ নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে শত শত অভিবাসন প্রত্যাশী নিহত হন। গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ ইতালিতে অভিবাসী বহনকারী নৌকা ডুবে কমপক্ষে ৯৪ জন মারা যান। রেকর্ডকৃত সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনাগুলোর অন্যতম এটি।

মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে শরণার্থী ও অভিবাসীদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের অন্যতম রুট গ্রিস। গত মাসে দেশটির সরকার অভিবাসীদের জোরপূর্বক বহিষ্কারের জন্য আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে, পুশব্যাকের আশঙ্কায় ডুবে যাওয়ার আগে যাত্রীরা কোস্টগার্ডের সাহায্য নিতে অস্বীকার করেছিল।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এই বছর ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে ৭০ হাজারেরও বেশি শরণার্থী ও অভিবাসী এসেছেন। যাদের বেশিরভাগই ইতালিতে প্রবেশ করেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply