fbpx

ঘর শীতল রাখতে এসি লাগবে না!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গরম কমাতে যারা এয়ার কন্ডিশন বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার করছেন, তারা সাময়িক স্বস্তি পেলেও, এটি দীর্ঘস্থায়ী অসুখকে ডেকে আনছে। একইসঙ্গে পরিবেশের ক্ষতি করে গরমকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এসি ছাড়াও নানা উপায়ে আপনার ঘরকে রাখতে পারেন ঠাণ্ডা ও শীতল।

প্রাচীন মিশরীয়রা জানালা-দরজা বা রোদ আসতে পারে এমন জায়গায় ভেজা মাদুর বা চট রেখে দিত। রোদ সেটা ডিঙিয়ে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তাপমাত্রা বাড়ানোর সুযোগ পেত না।

উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে বাতাস ধরে রাখার জন্য, ভবনের উপরে খোলা জানালার টাওয়ার বসাতো। সেই টাওয়ার ভবনের ভেতরে ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করিয়ে গরম বাতাসকে বের করে দেয়।

শীতকালে সিলিং ফ্যান চলবে ঘড়ির কাটার দিকে, আর গ্রীষ্মকালে ফ্যান চলবে ঘড়ির কাটার বিপরীতে। এতে করে ঘরের ভেতর আটকে থাকা গরম বাতাস দ্রুত বের করে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখবে সিলিং ফ্যান।

কাচের জানালা ৩ থেকে ১০ মিলিামিটারের পুরু ডাবল গ্লাসযুক্ত হতে হবে। কাচ তাপ সুপরিবাহী হলেও ২ স্তরের কাচের গ্লাসের ভেতরটা সিল থাকায়, তা ভেদ করে তাপ ঘরের ভেতর প্রবেশ করতে পারে না।

সাদা বা হাল্কা রঙের পর্দা সবার পছন্দ হলেও গরম কমাতে ব্যবহার করতে হবে মোটা কাপড় এবং গাঢ়ো রঙের পর্দা। বেগুনী, নীল, খয়েরি পর্দা তাপ শোষণ করে বেশি, ঘরকে গরম হতে দেয় না।

রাতে ঘুমাবার আগে জানালা খুলে শীতল বাতাস প্রবেশ করতে দিতে হবে। একইসঙ্গে কম্পিউটার, টেলিভিশন, ওভেন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বন্ধ রাখতে হবে।

অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম, গোল্ডেন পোথোস বা সাদা-সবুজ মিশেলের মানি প্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্ট বা ফণিমনসা, ফার্ন জাতীয় গাছ ঘরের তাপমাত্রা ঠাণ্ডা রাখে।

দুবাইয়ের ব্রিটিশ ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা বলছে, এমন সব বিকল্প উপায় ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বার্ষিক জ্বালানির ব্যবহার ২০ শতাংশের বেশি কমানো সম্ভব হয়েছে। এতে করে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা অন্তত পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমানো সম্ভব হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply