fbpx

চীনকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হতে যাচ্ছে ভারত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে পরিচিত চীনের জনসংখ্যা ১৯৬১ সালের পর প্রথমবারের মতো কমেছে। সে বছর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাও জেদং এর অনুসৃত কৃষিনীতি ব্যর্থ হলে দেশটির আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সূত্রপাত ঘটেছিল।

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে বিবেচিত হলেও শিগগির ভারতের জনসংখ্যা চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন।

বিশ্লেষকদের প্রাক্কলন মতে ভারতের জনসংখ্যা ইতোমধ্যে ১৪০ কোটি ছাড়িয়েছে এবং তা আগামীতে আরও বাড়বে।

১৪০ কোটি মানুষের দেশ চীনে জন্মহার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে এবং এর জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ বয়স্ক ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, এতে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে স্থবিরতা নেমে আসবে এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতে সরকারি অর্থায়নের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে।

বেইজিং এর জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (এনবিএস) মঙ্গলবার জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষে দেশটির জনসংখ্যা এর আগের বছরের তুলনায় ৮ লাখ ৫০ হাজার কমেছে।

এনবিএস জানায়, চীনে ২০২২ সালে ৯৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা ১ কোটি ৪ লাখ ১০ হাজার। দেশটিতে এখন পুরুষের সংখ্যা ৭২ কোটি ২০ লাখ ৬ হাজার এবং নারীর সংখ্যা ৬৮ কোটি ৯৬ লাখ ৯০ হাজার।

এনবিএস প্রধান ক্যাং ই জানান, চীনের জনসংখ্যা কমে যাওয়ার ধারায় উদ্বেগের কিছু নেই, কারণ এখনও দেশটির সার্বিক শ্রম সরবরাহ চাহিদার চেয়ে বেশি আছে।

চীন তাদের কঠোর ‘এক-সন্তান নীতি’ থেকে ২০১৬ সালে সরে আসে এবং ২০২১ সালে প্রতিটি পরিবারকে সর্বোচ্চ ৩ সন্তান নেওয়ার অনুমতি দিলেও তাদের জনসংখ্যার নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০৫০ সাল নাগাদ চীনের জনসংখ্যা ১০ কোটি ৯০ লাখ কমে যেতে পারে। ২০১৯ এর পূর্বাভাষের তুলনায় এটি ৩ গুণ বেশি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply