যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং উৎসাহ, আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে পালিত হচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। ১০ জুলাই (রবিবার) জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৮টায়। সকাল থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতীয় ঈদগাহে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতে, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রীপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের প্রায় ৩০ হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
পরে, বাদ নামাজ প্রধান বিচারপতি সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতের ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি রুহুল আমিন। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহ ও দেশ, জাতির সুখ, সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ঈদের প্রধান জামাতকে কেন্দ্র করে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লীর নামাজ আদায়ের স্থান প্রস্তুত করা হয়। ঈদগাহে নারীদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নামাজ আদায়ের জন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ছিল র্যাবের বিশেষ ডগ স্কোয়াড। এছাড়া ঈদগাহে এবং আশেপাশের এলাকাজুড়ে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ ওয়াচ টাওয়ার।
অন্যদিকে, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি জামাত হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী জাতীয় মসজিদে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।