চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রবাসী যোদ্ধারা দেশে ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রা হিসেবে যার পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার ৬৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ২৭ হাজার ৮৭ টাকা। গত বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় এই অর্থ প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। সে সময় প্রবাসীরা দেশে ১৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে এ চিত্র উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সোমবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪২ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, করোনার প্রভাব প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোতে ভাটা ফেলতে পারে নি। এছাড়া প্রবাসীরা অবৈধ পথে রেমটেন্স পাঠানোও বন্ধ করেছেন। এজন্য সরকার প্রবাসীদের ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনাও দিচ্ছে। তাই এই প্রবাসীরা দেশে বেশি বেশি রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। পরের স্থানে রয়েছে ডাচ্–বাংলা ব্যাংক। এছাড়া অগ্রণী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমেও বেশি টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
করোনার কারণে বিশ্ব ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছিল, মহামারীর ধাক্কায় ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার রেমিটেন্স ২২ শতাংশ কমবে। আর বাংলাদেশে কমবে ২০ শতাংশ।
কিন্ত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেই পূর্বাভাস সত্যি হয় নি। ভারতে রেমিটেন্স ৩২ শতাংশ কমে গেলেও বাংলাদেশে বেড়েছে ১৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
কেন্দ্রিয় ব্যাংক বলছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দেশে প্রবাসীরা ২০৫ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে যা ২১ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি।
দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিটেন্স। দেশের জিডিপিতে রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।