fbpx

টাইটানের যাত্রীদের লাশ মমি হয়ে যাবে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া সাবমেরিন টাইটানের সব আরোহীই মারা গেছেন। তাদের মৃতদেহ পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাবমেরিনটির ভেতর আটকে পড়া পাঁচজনের মৃতদেহ পানির নিচের ঠান্ডা তাপমাত্রা ও চাপযুক্ত জাহাজে অক্সিজেনের অভাবে ‘মমিতে’ পরিণত হতে পারে।

ওয়েস্টার্ন ক্যারোলিনা ইউনিভার্সিটির ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানের পরিচালক নিকোলাস পাসলাকোয়া অনুমান করেন, টাইটান জাহাজে পাঁচজন যাত্রী মারা গেলে তাদের মৃতদেহ ডুবোজাহাজের ভেতর সংরক্ষিত থাকবে।

পাসলাকোয়া বলেন, ‘সাধারণত অক্সিজেনবিহীন পরিবেশে মৃতদেহ খুব বেশি পচবে না। কারণ টিস্যুগুলোকে গ্রাস করতে ও পচাতে সক্ষম মাইক্রো এবং ম্যাক্রো জীব সাবমেরিনের ভেতর বেঁচে থাকতে অক্ষম হবে।’

কলোরাডো মেসা ইউনিভার্সিটির ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন রিসার্চ স্টেশনের পরিচালক মেলিসা কনরস মৃতদেহ মমি হয়ে যাওয়ার ধারণার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। তিনি বলেন, সাবমেরিনের হিটিং সিস্টেমটি যদি কাজ না করে তাহলে আটলান্টিকের ঠান্ডা তাপমাত্রা মৃতদেহগুলোকে শুকিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

লাশের সন্ধান অব্যাহত থাকবে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন মার্কিন কোস্টগার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগার। কোস্টগার্ডের এ কর্মকর্তা জানান, টাইটানিকের চার পাশে সমুদ্রের তলায় চলাচলকারী রিমোট অপারেটিং ভেহিকল (আরওভি) ঘটনাস্থলেই থাকবে।

পাঁচ আরোহী নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে হারিয়ে যাওয়া টাইটান সাবমেরিনটি ভয়াবহ বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে। যাত্রীদের কেউই আর বেঁচে নেই। বৃহস্পতিবার সাবমেরিনে মজুত ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয় মার্কিন কোস্টগার্ড। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আটলান্টিক মহাসাগরের গভীর তলদেশের শীতল অন্ধকার হারিয়ে গেছে ৫ পর্যটকের মৃতদেহ। লাশ খুঁজে পাওয়ার আশাও ক্ষীণ। রয়টার্স, বিবিসি, গার্ডিয়ান, সিএনএন।

শোকের ছায়া নেমে এসেছে পাঁচ পরিবারেই। নিখোঁজ স্বজনদের ফিরে পাওয়ার আশায় অধীর অপেক্ষায় ছিলেন তারা। কিন্তু আর ঘরে ফিরলেন না তারা। হারিয়ে গেলেন চিরতরে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর পরিবারগুলো এখন শোকে ম্লান। হোয়াট হাউজ বলেছে, ‘পাঁচজনের প্রিয়জনরা গত সপ্তাহে একটি বিপজ্জনক অগ্নিপরীক্ষা সহ্য করেছে।’ টাইটান কিভাবে ধ্বংস হয় তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হয় সাবমেরিনের ভিতরে ব্যাপকভাবে চাপ কমে যাওয়ায় এ বিস্ফোরণ ঘটেছে। হোয়াইট হাউজ ও ওশানগেটসহ অনেকেই নিহতদের ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টায় সাহায্যকারী কানাডা, ফরাসি ও ব্রিটিশ অংশীদারদেরসহ মার্কিন উপকূলরক্ষীদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

আটলান্টে জাহাজ থেকে পরিচালিত রোবট ডুবোযান ভিক্টর ৬০০০’র মাধ্যমে টাইটানের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে। ছোট্ট সাবমেরিনটির যেসব অংশ পাওয়া গেছে তার মধ্যে অবতরণ ফ্রেম, শঙ্কু আকৃতির পেছনের লেজ অন্যতম। বাকি টুকরোগুলো ডুবোযানটির বিভিন্ন অংশের বলে জানিয়েছে বিবিসি। টাইটানিক ধ্বংসাবশেষ থেকে মাত্র ১ হাজার ৬০০ ফুট নিচে সমুদ্র তলদেশে এসব অংশের সন্ধান মিলেছে। আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে ঐতিহাসিক টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে ১৮ জুন পাঁচ পর্যটকসহ হারিয়ে যায় সাবমেরিন ‘টাইটান’। যাত্রা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরই পানির উপরে থাকা মূল জাহাজের সঙ্গে ডুবোযানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিবিসি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply