fbpx

টিউশন ফি থাকবে না ইলন মাস্কের স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিত্ব ইলন মাস্ক নিজের বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে চান। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিনে নিজের বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে চান তিনি।

এছাড়া একটি স্কুল তৈরি করারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মাস্ক। তাঁর এই স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো টিউশন ফি থাকবে না বলেও জানা গেছে।

ইলন মাস্ক এরই মধ্যে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে ১০০ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন স্কুল খোলার জন্য। এই অর্থ দানের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া অর্থের করের নথিপত্র থেকে জানতে পেরেছে ব্লুমবার্গ। প্রাথমিকভাবে ইলন মাস্কের দেওয়া অর্থ দিয়ে একটি প্রাথমিক স্কুল খোলা হবে। পরে পর্যায়ক্রমে হাইস্কুল এবং অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাবেন।

ইলন মাস্কের দেওয়া এই অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত স্কুলে প্রাথমিকভাবে ৫০ জন শিক্ষার্থী নেওয়া হবে। এসব শিক্ষার্থীকে স্টেম সাবজেক্টস বা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, চিকিৎসা ও গণিতসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া হবে। সাধারণত স্টেম সাবজেক্টস বলতে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থ, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল, গণিত, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, কম্পিউটার বিজ্ঞান, অর্থনীতি ও ভূবিদ্যা।

কর জমা দেওয়ার ওই নথি থেকে জানা গেছে, ওই দাতব্য প্রতিষ্ঠানের নাম দ্য ফাউন্ডেশন। দাতব্য সংস্থাটি সর্বোচ্চ স্তরে শিক্ষার জন্য স্কুল থেকে তার কার্যক্রম প্রসারিত করে নিবেদিত একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে চায়।

নথিতে আরও বলা হয়েছে, ইলন মাস্কের অর্থায়নে নির্মিত হতে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদনের জন্য শিগগিরই নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউনিভার্সিটি সাউদার্ন অ্যাসোসিয়েশন অব কলেজ অ্যান্ড স্কুল কমিশন অন কলেজে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করবে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে স্কুলটিতে কোনো টিউশন ফি না নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে টিউশন ফি চালু করা হলে সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বৃত্তি দেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের। বিষয়টি জানতে চেয়ে মাস্কের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

মাস্ক অতীতেও একাধিকবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যেমন তিনি ২০১২ সালে তাঁর কোম্পানির কর্মচারীদের বাচ্চাদের জন্য অ্যাড অ্যাস্ট্রা নামে একটি ছোট প্রাইভেট স্কুল চালু করেছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি সেই স্কুল সম্পর্কে বলেছিলেন, অ্যাড অ্যাস্ট্রায় কোনো গ্রেড নেই এবং তার বদলে এটি শিক্ষার্থীদের ওপর দক্ষতা ও সক্ষমতার ওপর জোর দেয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply