টুইটারের প্রধান নির্বাহী বা সিইওর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন টেসলাপ্রধান ইলন মাস্ক। তবে শর্ত জুড়ে দিয়েছেন, যোগ্য কাউকে পেলেই তিনি এ পদ ছাড়বেন। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) নিজের টুইটারে এ কথা জানান মাস্ক।
টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন-
I will resign as CEO as soon as I find someone foolish enough to take the job! After that, I will just run the software & servers teams.
— Elon Musk (@elonmusk) December 21, 2022
‘চাকরি নেওয়ার মতো বোকা কাউকে পাওয়া মাত্রই আমি সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করব! এর পরে, আমি শুধু সফটওয়্যার এবং সার্ভার টিম চালাব।’
গত ২৭ অক্টোবর ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নেন টেসলার প্রধান নির্বাহী ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। এরপর থেকেই নানা আলোচলায় আসতে থাকে মাস্কের কর্মকাণ্ড। প্রথমেই পরাগ আগারওয়ালকে কোম্পানির সিইওর পদ থেকে সরিয়ে দেন মাস্ক। একই সঙ্গে প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সিগাল ও আইন-নীতিমালাবিষয়ক প্রধান বিজয়া গাড্ডেকেও চাকরিচ্যুত করেন। এরপর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নিজেকে সিইও ঘোষণা করেন।
তবে এতেই ক্ষ্যান্ত হন নি মাস্ক। টুইটারের কিছু কর্মীকে দৈনিক ১২ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ৭ দিন কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া টুইটার অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড (ব্লু টিক মার্ক) করতে ব্যবহারকারীকে এখন থেকে মাসে আট ডলার গুণতে হবে বলেও ঘোষণা দেন। আর সবশেষ অফিসে তালা ঝুলিয়ে করেন কর্মী ছাঁটাই।
এরপর আচানকই সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি গণভোটের আয়োজন করেছিলেন মাস্ক। টুইটার প্রধান পদ থেকে তর সরে যাওয়া উচিত কি না জানতে চেয়ে এই টুইটার পোল তৈরি করেছিলেন মার্কিন ধনকুবের। সেখানে “হ্যাঁ” অথবা “না” জবার দিতে পারবেন যে কোনও টুইটার ব্যবহারকারী। তিনি জানিয়েছিলেন এই ভোটের ফলাফলের উপরেই নির্ভর করবে কোম্পানির শীর্ষপদে তার ভাগ্য।
গত ১৯ ডিসেম্বর এই গণভোটের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর দেখা যায় সেখানে বেশিরভাগ টুইটার ব্যবহারকারী মাস্ককে সংস্থার শীর্ষপদ থেকে সরে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। এই ভোটে অংশগ্রহণকারী ৫৭.৫ শতাংশ টুইটার ব্যবহারকারী মনে করেন মার্কিন ধনকুবেরের টুইটার প্রধান পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত। অন্যদিকে ৪২.৫ শতাংশের মত নিজের পদে থেকে কাজ চালিয়ে যান এলন। মোট ১৭,৫০২,৩৯১ জন টুইটার ব্যবহারকারী এই ভোটে অংশ নিয়েছিলেন।