fbpx

টুঙ্গিপাড়ায় ২১ থেকে ২৬ মার্চ মুজিববর্ষ লোকজ মেলা: প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় ২১ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিববর্ষ লোকজ মেলা’ করা হবে  বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে ‘টুঙ্গিপাড়া: হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শীর্ষক আয়োজনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে মুজিববর্ষ লোকজ মেলা করব। আমি আনন্দের সঙ্গে আপনাদের জানাচ্ছি যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জাতির পিতার সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি আগামী ২১ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে মুজিববর্ষ লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।’

মেলার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রাম বাংলা নানা বৈচিত্র্যে ভরা। এই বৈচিত্র্যময় বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি তুলে ধরতে এই মেলা। ঐতিহ্যবাহী লোকজ পণ্যের প্রদর্শনীসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে নানা ধরনের আয়োজন থাকবে মেলায়।’

এছাড়াও বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ বিষয়ক বই, চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন থাকবে মেলায়। সশরীরে মেলায় উপস্থিত থাকা সম্ভব হবে না বলে, বৃহস্পতিবার মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সরাসরি উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করতে পারছি না, কিন্তু আমি আজকেই এই মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করছি।’

শিশুদের উজ্জ্বল ও সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার কথা মাথায় রেখে সরকার তার সব কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের শিশুদের আগামী দিনের কর্ণধার। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই মর্যাদা ধরে রেখে আগামী দিনে আমরা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব। এটাই হচ্ছে আমাদের অঙ্গীকার।’

তিনি বলেন, ‘২১০০ সাল পর্যন্ত এই বাংলাদেশে কীভাবে উন্নত হবে সে পরিকল্পনা আমি প্রণয়ন করে, সেটা দিয়ে গেছি। কাজেই শিশুদের ভবিষ্যৎ যাতে উজ্জ্বল হয়, সুন্দর হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের সব কর্মপরিকল্পনা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন করোনা ছিল, তখন আমরা অনলাইনে ক্লাস নিয়েছি। শিশুরা যেন কোনোভাবে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করে দিচ্ছি। এখানে শিশুরা খেলাধূলা করতে পারবে, প্রতিযোগিতা করতে পারবে।’

শিশুদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন। আমার ছেলে জয়ের সৌভাগ্য হয়েছে, আমার বাবার কোলে চড়ে খেলা করতে। তিনি যখন বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতেন, তখন মনে হতো তিনি নিজেই একটা শিশু। এটাই ছিল তার চরিত্রের সবচেয়ে বড় দিক, যেটা তার সরলতা।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply