fbpx

ডিজিটাল পাঠ গ্রহণে মন্ত্রীর কাছে ল্যাপটপ চেয়েছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠ গ্রহণকারী ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের বাইরেও বাড়িতে বসে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠ গ্রহণের সুবিধা চায়। এজন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের কাছে ল্যাপটপ চেয়েছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৪ আগস্ট) ডিজিটাল কনটেন্টে ডিজিটাল ক্লাশ রুম পরিদর্শন করতে গেলে মন্ত্রীর কাছে এ দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলের ৬৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে বিটিআরসি‘র এসওএফ তহবিলের অর্থায়নে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় বাঘাইকান্দি এবং জাজিরা কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠ দান শুরু হয়। মন্ত্রী দুটি প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠ দান সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট–শিক্ষার্থীদের অনুভূতি জানতে বিদ্যালয় দুটির ডিজিটাল ক্লাশ রুমে ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে পাঠদান পর্যবেক্ষণ করেন।

এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি আমাদের এগিয়ে যাওয়ার চালিকা শক্তি। মন্ত্রী ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে তার ৩৫ বছরের নিরন্তর পথচলা এবং শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে দীর্ঘ ১৩ বছরের প্রচেষ্টা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন উন্নত দেশ আজ আর কাগজনির্ভর লেখাপড়ার যুগে নেই। আমি বিশ্বাস করি, বই থেকে যে লেখাপড়া করার সুযোগটা যদি একজন শিক্ষার্থী কাগজের বইয়ের মৃত হরফ আর মৃত ছবির বদলে একটা জীবন্ত ছবি দেখতে পায়, একটি চলমান ছবি দেখতে পায়, অক্ষর যদি কথা বলে, তার সাথে যদি ইন্টারেকশন করতে পারে সেটা অসাধারণ একটি কাজ হয়ে যেতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা দাবি করছে তারা যাতে ঘরে বসে ডিজিটাল কনটেন্টে পড়তে পারে, সেজন্য তাদের হাতে হাতে যেন ডিজিটাল যন্ত্র দেই। এটিও আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে আছে। এরই মাঝে আমরা ৮২টি স্কুলে ট্যাবও দিচ্ছি। এতে তারা প্রোগ্রামিংও শিখতে পারবে।

ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের কথা তুলে ধরে মোস্তফা জব্বার বলেন, শিশুরা খেলার ছলে আনন্দের সাথে তাদের এক বছরের সিলেবাস ২ মাসের মধ্যে শেষ করতে সক্ষম।

নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলায় তার পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত একটি ডিজিটাল স্কুলের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, শিশুদেরকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতেই হবে। ডিজিটাল শ্রেণি কক্ষে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের প্রকল্পটি শেষ হবার পথে। ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে প্রাথমিক পাইলটিং স্তরের শিক্ষার্থীদের পাঠদান বিষয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রাথমিক স্তর থেকে শিক্ষার ডিজিটাল রুপান্তরের কার্যক্রম শেষ স্তরে রয়েছে বলেও জানান মোস্তফা জব্বার।

শিশুদেরকে প্রোগ্রামার বানানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথমবারের মতো স্কুলে শিশুদেরকে প্রোগ্রামিং শেখানোর জন্য একটি সফটওয়্যার দিচ্ছি। এটা সহজেই তাদের পক্ষে আয়ত্ত করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে বিজয় ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী জেসমিন জুঁই বলেন, ১৩ বছর ধরে দিনে রাতে শ্রম দিয়ে আজ যখন শিশুদের মুখে হাসি দেখছেন তখন সকল কষ্ট আনন্দে পরিণত হয়েছে। শিশুদের জন্য মানসম্মত একটি ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির সে চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা অনেক কঠিন কাজ। তারপরেও আমরা থেমে থাকিনি।

তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের বাইরে তার অধীন যে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ডিভাইস আছে, সেগুলোর জন্য বিজয় ডিজিটাল উপাত্ত পাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। মন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply