fbpx

ডিম্বাশয়ে ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে অভ্যাসে পরিবর্তন আনুন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ডিম্বাশয়ে ক্যানসার একটি জটিল রোগ। সবচেয়ে ভয়ের কথা যেটা এই রোগ চুপিসারে ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ নারীই ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণগুলোকে সাধারণ পেটের ব্যথা বা হজমের সমস্যা ভেবে প্রথমে গুরুত্ব দিতে চান না। আর তখনই বাধে ভয়ঙ্কর বিপত্তি।

ডিম্বাশয়ে ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে রোগীর সেড়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। চিকিৎসকদের মতে, পিরিয়ড বন্ধের পর ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি আরও বাড়ে। আর একারণেই সে সময় আরও সতর্ক হতে হবে। পরিস্থিতি হাতের নাগালে যাওয়ার আগেই সতর্ক হোন-

ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ
১। পিরিয়ডের সময় তলপেটে, কোমরে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু পিরিয়ড শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যদি এই ব্যথা থেকে যায় বা বার বার ব্যথা হতে থাকে তা ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

২। অল্প খেলেই কি আপনার পেট ভরে যাচ্ছে বা বেশি খেতে পারছেন না? যদি এমন হয় বা এই অবস্থা যদি তিন-চার সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলে তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৩) পানি খুব বেশি না খেয়েও ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়াও ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

ঝুঁকি কমবে যেভাবে
১। সঠিক খাদ্যাভাস, নিয়মিত শরীরচর্চা ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলেই এই রোগের ঝুঁকি ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, মটরশুঁটি, ডিম, বাদামের মতো ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার এবং গাজর, শাকসব্জি এবং মিষ্টি আলুর মতো উচ্চ মাত্রায় ‘ভিটামিন এ’ রয়েছে এমন খাবার খাদ্যতালিকায় রাখলে এই রোগের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

২) ট্যালকম পাউডার কিংবা সুগন্ধিতে ব্যাবহার করা হর ‘কারসিনোজেন’ নামক পদার্থ। এজন্য সুগন্ধি জাতীয় পদার্থ যতটা পারবেন কম ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৪) এই রোগের ঝুঁকি এড়াতে ধূমপান ও মদ্যপান খুব বেশি না করাই ভাল। যেকোনো ক্যান্সারের জন্য এগুলো দায়ী।

৫) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে ৩০ বছর বয়েসের আগে যে মহিলার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে ডিম্বাশয়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। যে সব মহিলা সন্তানদের স্তন্যদুগ্ধ পান করান তাদের মধ্যেও এই রোগের ঝুঁকি কম দেখা যায়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply