ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে চুক্তির যে দুই কোটি ২০ লাখ টিকা এখনও আটকে আছে, সেগুলোই ডিসেম্বরে আসতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আগামী মাস থেকে ভারত থেকে আবার টিকা আসা শুরু করবে। আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে ভারত থেকে সব টিকা চলে আসবে।’
দেশেই করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনের উদ্যোগের অগ্রগতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ইনসেপ্টার টিকা তৈরি করার সমস্ত সক্ষমতা আছে। চায়নার সাথে টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনসগুলো ঠিক হয়ে গেলে তারা উৎপাদনে যেতে পারবে।’
আর বেক্সিমকো আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যেই টিকা উৎপাদনের ‘সক্ষমতা অর্জন করবে’ বলে জানান সালমান এফ রহমান।
গত বছরের নভেম্বরে সেরাম থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। এরপর জানুয়ারিতে ৬০০ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম হিসেবে দেয় সরকার, যা টিকার মোট দামের অর্ধেক।
চুক্তি অনুযায়ী, ভারত থেকে ওই টিকা এনে বাংলাদেশে সরবরাহ করার দায়িত্ব পায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। তারা বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিড টিকার একক পরিবেশক। আর সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান।
চুক্তিতে বলা হয়, সেরাম ইনস্টিটিউট প্রতি মাসে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ ডোজ টিকা দেবে। গত ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসে। আর ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি আরও ২০ লাখ ডোজ এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড পায় বাংলাদেশ।
কিন্তু মার্চে ভারতে করোনাভাইরাস চরম আকার ধারণ করলে, সে দেশের সরকার এপ্রিলে টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর থেকেই সরকার নানা জায়গা থেকে টিকা আনতে চুক্তি করে।
