করোনাভাইরাসের মাঝে সরকার ঋণ খেলাপিদের বিশেষ ছাড় দিলেও কোনোভাবেই এই খাতে লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মার্চ মাস পর্যন্ত করা প্রতিবেদন অনুযায়ী,জানুয়ারি থেকে মার্চ- এই তিন মাসে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৬ হাজার ৮০২ কোটি টাকা। এসময়ে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫ হাজার ৮৫ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ৮ দশমিক ০৭ শতাংশ। ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত যার পরিমাণ ছিল ৮৮ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা।
এই প্রতিবেদন মঙ্গলবার বিকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির অনুমোদন করেন।
সেখানে বলা হয়েছে, গত মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতের বিতরণ করা মোট ঋণ বেড়ে ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। যাদের মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৫ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। অথচ ডিসেম্বর মাসে এর পরিমাণ ছিল ৮৮ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬ হাজার ৮০২ কোটি টাকা। ২০২০ সালের মার্চে খেলাপি ঋণ ছিল ৯২ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। ফলে ২০২০ সালের মার্চের তুলনায় ২০২১ সালে খেলাপির পরিমাণ বেড়েছে ২ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণগ্রহীতাদের বড় ছাড় দিয়েছে। ঋণ ও ঋণের কিস্তি পরিশোধে গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা বেশ ছাড় পেয়েছেন। এমনকি যারা এই ঋণ পরিশোধ করতে পারেন নি, তাদের কোনো ঋণকে খেলাপি করা হয়নি।
এমনকি বর্তমানেও অনেক ঋণের বিপরীতে কিস্তি পরিশোধে ছাড় বহাল রয়েছে। কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে খেলাপি করার ক্ষেত্রেও অনেক ঋণে ছাড় বহাল রয়েছে।
তবে গত ১ জানুয়ারি থেকে বেশ কিছু খাতে কিস্তি পরিশোধ না করলে খেলাপি করা হচ্ছে। এজন্য তিন মাসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।