তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ২৩ হাজার ৭০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্য তুরস্কে ২০ হাজার ২১৩ জন মারা গেছেন। আর আহত হয়েছে ৮০ হাজার ৫২ জন। অন্যদিকে সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৫০০ জন। তুরস্কে এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধারের কাজ চলছে।
শনিবার সকালে তুরস্ক ও সিরিয়ার সরকারি সূত্র ও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্কে ২০ হাজার ২১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর সিরিয়ায় মারা গেছেন ৩ হাজার ৫০০ জন। দুই দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৭১৩ জনে।
সিএনএন-এর এক খবরে বলা হচ্ছে, সিরিয়ায় মৃতের মধ্যে দুই হাজার ১৬৬ জন উত্তরপশ্চিমের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এবং এক হাজার ৩৪৭ জন বাশার আল আসাদ সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায়। এই ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৯৯৯ সালে ১৭ হাজারের বেশি মৃত্যু হওয়া ভূমিকম্পের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তীব্র ঠান্ডা, বৃষ্টি, যোগাযোগে বিপর্যয়সহ নানা সমস্যায় উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে। আশ্রয়, খাবার, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুতের অভাবে উপদ্রুত এলাকাগুলোর বেঁচে থাকা মানুষদের বেঁচে থাকা দায় হয়ে ঠেকেছে। তাদের মধ্য থেকেও অনেকের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
সিরিয়ার অবস্থা আরও খারাপ। দেশটির ভূমিকম্পকবলিত এলাকাগুলো সরকার ও বিদ্রোহী- দুই পক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহায়তা পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘের ছয়টি ট্রাক সহায়তার জন্য তুরস্ক সীমান্ত পার হয়ে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে। এটি দেশটির উপদ্রুত অঞ্চলে পৌঁছানো প্রথম আন্তর্জাতিক সহায়তা।