fbpx

দইজ্জার তল দিয়া গাড়ি চলে: প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চট্টগ্রামবাসীর উদ্দেশ্যেপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে আপনাদের জন্য আমি একটি ছোট্ট উপহার নিয়ে এসেছি। এটি হলো টানেল। এখন দইজ্জার (চট্টগ্রামের এক অঞ্চলের ভাষায় সাগর বা দরিয়া)। তল দিয়ে গাড়ি চলে। দক্ষিণ এশিয়ায় এত বড় টানেল আর নেই। আগামীকাল এই টানেল জনসাধারণ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

৩.৩১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেল কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম না, সমগ্র বাংলাদেশের আঞ্চলিক যোগাযোগে ‘বিরাট ভূমিকা রাখবে’ বলে আশা প্রকাশ করেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় এতবড় টানেল এই প্রথম। বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণে সহযোগিতা দেওয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তিনি ধন্যবাদ জানান

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদেরর সরকারের লক্ষ্য, দেশ আরো উন্নত হোক। কক্সবাজার যেতে বহুত সময় লাগত, আজ এত সময় লাগবে না। ঢাকা থেকে এসে এখন চট্টগ্রাম শহরের ভেতরে ঢুকে যানজটে পড়তে হবে না। এশিয়ার হাইয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করব, যা আমাদের উন্নয়নের অবদান রাখবে।

এর আগে এদিন বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দোয়া ও মোনাজাত শেষে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর টানেলের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে আনোয়ারা প্রান্তে রওনা দেয়। বেলা ১২টা ১ মিনিটে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে টানেলে টোল প্রদান করেন শেখ হাসিনা।  উদ্বোধন ও টোল প্রদানের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর কর্ণফুলীর কেইপিজেড মাঠে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভার উদ্দেশ্য রওনা দেয়। সেখানে চীনের রাষ্ট্রপতির পক্ষে পাঠানো একটি পত্র পাঠ করেন দেশটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

এছাড়া জনসভা মাঠে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের আরও কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। টানেল উদ্বোধনকে স্মরণীয় করে রাখতে স্বারক ডাকটিকিট উন্মোচন ও ৫০ টাকা মূল্যমানের নোট অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement
Share.

Leave A Reply