উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি মোকাবেলায় ‘যুগান্তকারী’ এক চুক্তিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। এর আওতায় ওয়াশিংটন এশিয়ার দেশটিতে পরমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করবে। পাশাপাশি নিজেদের পারমাণবিক কার্যক্রমে সিউলকে যুক্ত করবে। খবর বিবিসি।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ সহযোগিতার বিনিময়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করতে সম্মত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
গতকাল বুধবার (২৬ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া চুক্তির ঘোষণা দেয়।
সম্প্রতি জো বাইডেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৭০তম বার্ষিকী উদযাপনে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানান।
নতুন চুক্তির বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ওয়াশিংটন ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধে মিত্রদের সহযোগিতা জোরদার করবে।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি নিয়ে দুই দেশেই উদ্বেগ বাড়ছে। দক্ষিণ কোরিয়াকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে এমন কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ও মার্কিন মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সক্ষম দূরপাল্লার এমন অস্ত্র নিয়ে অনেক দিন ধরে কাজ করছে পিয়ংইয়ং।
কয়েক দশকের পুরোনো চুক্তি বলেই দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ নতুন প্রতিশ্রুতিকে সন্দেহ করে বলছে, সিউলের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া উচিত।
এ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল বলেছেন, ওয়াশিংটন ঘোষণাটি প্রতিরক্ষা বৃদ্ধি, আক্রমণ প্রতিরোধ ও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে মিত্রদের সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ‘অভূতপূর্ব’ প্রতিশ্রুতি।
প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জানান, নতুন চুক্তিটি বেশ কয়েক মাস ধরে চলা আলোচনার ফলাফল।
নতুন চুক্তির অধীনে ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবার দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি পারমাণবিক সশস্ত্র সাবমেরিন পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। যা তাদের প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতিকে আরো দৃশ্যমান করবে। পাশাপাশি পারমাণবিক সক্ষমতা আছে এমন বোমারু বিমানসহ অন্যান্য কৌশলগত কাঠামো এর সঙ্গে যুক্ত।
এদিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, উত্তর কোরিয়াকেও আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।